বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতা চালাচ্ছে: সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম আমি নেতৃত্ব দিয়েই কুষ্টিয়া থানা ভাঙছি’ এটা আমার আবেগী বক্তব্য -মাজেদ দৌলতপুরের ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার শিক্ষক লাঞ্ছিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষনা বৈষম্য বিরোধীদের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন -মাজেদ কুমারখালি দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৫ রাতের গভীরে শেখ হাসিনাকে হঠাৎ কোথায় সরিয়ে নিল ভারত আইন উপদেষ্টা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না দেশের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার চরম ক্ষোভ ছিল: রিমান্ডে মেনন
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যায় ৫ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কুষ্টিয়া অফিস // / ১০৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ৩:১০ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় দায়ের করা কৃষক রেজাউল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আপন সহোদর ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদ-াদেশ দেন আদালত।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার মৃত রহমত শেখের ছেলে আব্দুল গফুর (৪৫), জালাল উদ্দিন (৩৮), উজ্জল (৩৫), সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত (২৫), ও সুজন (২৩)। এরা প্রত্যেকে আপন ভাই। রায় ঘোষনার সময় আসামী গলুর ও জালাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলো।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত ১০ টার সময় কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার সেচ খালের পানি দিয়ে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়ার উদ্যোশ্যে মাঠে যাচ্ছিলো কৃষক রেজাউল উদ্দিন এবং তার দুই মামা আফিল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন। এসময় মাঠের মধ্যে কয়েকজন রেজাউলকে অস্ত্রসহ ঘিরে ধরে। এসময় তাকে কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে যখম করে পালিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে রেজাউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় পর দিন ১২ জুন কুমারখালী থানায় ০৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন নিহত রেজাউলের মামা আফিল উদ্দিন।

পরে পুলিশ পেনাল কোড এর ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ০৭ জানুয়ারি আদালতে ১২ জনকে আসামী করে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুমারখালী থানা পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সামসুল আলম সিদ্দিকী।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্তরা কৃষক রেজাউল উদ্দিকে কুপিয়ে হত্যা করে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, কুমারথালী থানায় দায়ের করা রেজাউল হত্যা মামলায় ১২জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ও প্রমানের ভিত্তিতে ৫আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হয়। দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল গফুর (৪৫), জালাল উদ্দিন (৩৮), উজ্জল (৩৫), সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত (২৫), ও সুজন (২৩) কে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বাঁকী আসামীদের এ মামলা থেকে অব্যহিত প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর