বর্ষার গুড়গুড় শব্দের দিনের শেষে আসে শরৎ। শরৎ এর সাদা শুভ্রতা নিয়ে দিগন্ত জুড়ে চোখ ধাঁধানো কাশফুলের সমাহার। শ্বেত শুভ্রতার কাশফুলের হাতছানিতে বিমোহিত দর্শনার্থীরা।
পদ্মা গড়াই মোহনায় দেখা মিলে কাশফুলের। যখনই পশ্চিম আকাশ হয়ে নিদ্রায় যেতে চাই সূর্যিমামা। নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় শ্বেত মেঘের বেলা। শরতের সৌন্দর্যের উপমায় থাকে সাদা আকাশ আর শ্বেত রঙে মুগ্ধতা ছড়ানো কাশফুল। এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গোপনাথপুর এলাকার পদ্মা গড়াই মোহনায়।
বালুচররের কাশ ফুলে ছেলেমেয়েরা মেতে উঠেছে আনন্দ উচ্ছ্বাসে। নির্মল বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলের মন মাতানো দোল খাওয়া শীষ দেখতে তরুন-তরুনীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন বিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাশবনে। কাশ ফুলের শুভ্রতার সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি ভ্রমণ ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের স্বাক্ষী হতে নিজেদের ধরে রাখছেন ছবির ফ্রেমে।
দর্শনার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘গোধূলির সময় মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দোলতে থাকে তখন মনটা আনন্দে ভরে উঠে।’
গৃহিনী আখি আক্তার বলেন, ‘কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। শৈশবের স্মৃতিগুলোকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
স্থানীয় এলাকাবাসী লিমন বলেন, ‘সাদা কাশফুল ও সবুজের পাশ দিয়ে চলার অনুভুতি অন্যরকম। এখানে ছবি তুলতে এসে কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে মনটা ভরে গেছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভা এলাকাস্থ রাকিবুল ইসলাম বলেন, নদীপাড় দেখতে সবারই ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় দুই নদীর মোহনায় সেটা তো আরো ভালো লাগে কারন কাশফুল প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাসুলিয়ার সাথে সাথে কাশবন দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষ ভীড় জমাচ্ছে।