কুষ্টিয়া পৌরসভার এনএস রোডে উচ্ছেদ অভিযানকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত শহরের প্রধান এই সড়ক অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পূজার কেনাকাটা করতে আসা মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
যদিও পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, উচ্ছেদের বিষয়ে জানা নেই। পৌরসভা থেকে জানানো হয়নি।
উচ্ছেদ অভিযানে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌর মেয়রের নির্দেশে শহরের প্রধান সড়ক এনএস রোডে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালান তাঁরা। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদ রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানে অন্তত ৫০ জন পৌরসভার শ্রমিক-কর্মচারী অংশ নেন।
পাঁচ রাস্তা মোড় থেকে থানা মোড় হয়ে সিঙ্গার মোড়ের দিকে অভিযান চলে। এ পথে প্রতিটি দোকানের সামনের অংশে থাকা মালামাল ভেতরে রাখতে বলে সামনের অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। মালামালও জব্দ করা হয়। জেলা পরিষদ ভবনের সামনে সাঈদ ক্লথ স্টোরে গিয়ে দোকানের সামনের অংশ ভাঙা নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে এনএস রোড দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন যান। তাঁর সঙ্গে পৌরসভার কর্মচারীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় পৌর কর্মচারীদের। আজ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পৌরসভার
একাধিক দোকানদার অভিযোগ করেন, পৌরসভার কর্মচারীরা দোকান মালিক সমিতির নেতা মকবুল হোসেনকে ধাক্কা দেন। এতে ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে এনএস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পৌরসভা থেকেই ফুটপাত ঘেঁষে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়তি কোনো জায়গা ব্যবহার করা হয়নি। তারপরও তারা বিভিন্ন সময়ে এসে ভাঙচুর চালায়।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদ রেজা চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে যেখানে ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে, শুধু সেখানেই অভিযান চালানো হয়েছে। মেয়রের নির্দেশে বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান এভাবেই হয়ে থাকে। আমরাই করে থাকি। কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগে না।’
জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ অভিযান যেকোনো সময় হতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাওয়া যায় না। তাই পৌরসভার কর্মকর্তারাই কাজ করেন।
ওকেপি/জিও