কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার লালন শাহ ব্রিজের উপর থেকে মুন্নী খাতুন (১০) এবং মুনসুর (৫) নামে দুই শিশু সন্তানকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা আব্দুল মালেক (৪২) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার(২২সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ রেজাউল করিম আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালত এই রায় ঘেষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-ভেড়ামারা উপজেলার বাহির চর ১২ দাগ এলাকার আঃ সামাদের ছেলে আব্দুল মালেক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের আগষ্টের ১৭ তারিখে সকালের দিকে মুন্নী খাতুন (১০) এবং মুনসুর (৫) নামে দুই শিশু সন্তানকে ভেড়ামারা ফেরীঘাট এলাকায় সেলুনে চুল কাটানোর কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে যায় তার বাবা আব্দুল মালেক। এরপর ঈশ্বরদী গামী একটি নছিমন গাড়ীতে উঠে লালন শাহ সেতুর মাঝখানে শিশু সন্তানদেরকে নামায় এবং প্রথমে মেয়ে শিশু মুন্নী খাতুন, পরে ছেলে মুনসুর কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে ঘটনার পরেদিন শিশু সন্তানদের মা মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে অভিযুক্ত তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারীতে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম অভিযুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষনা করেন।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার লালন শাহ ব্রিজের উপর দুই সন্তানকে সেতুর উপর থেকে ফেলে দেওয়ার অপরাধে বাবা আব্দুল মালেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।