কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ২জনের যাবজ্জীবন এবং দুইজনের ১০বছর কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত। সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত: ইসলাম মন্ডলের ছেলে পিতা লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী (৭০) এবং পূত্র আশারত আলী ওরফে নওশেদ(৫০)। এছাড়া এমামলায় আরও দুইজনের ১০বছর সাজা প্রাপ্ত আসামী হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা আরজেদ আলীর ছেলে এনামুল (৫০) ও আমির হামজার ছেলে মিন্টু আলী(৩৩)।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় দৌলতপুর উপজেলার সংগ্রামপুর হইতে ইচিমারি গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ আসামীদের পারস্পরিক যোগসাজসে পরিকল্পিত হামলা করে উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৮) কে ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৫জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেন দৌলতপুর থানায়।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে ১৫জনের বিরুদ্ধে সাইফুল হত্যায় জড়িত অভিযোগ এনে আদালতের চার্জশীট দাখিল করেন দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক আকিদুল ইসলাম।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে পূর্ব থেকেই বিবদমান দ্বন্দের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল নামের যুবককে হত্যার দায়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় পিতা লিয়াকত আলী ওরফে নিয়ত আলী (৭০) এবং পূত্র আশারত আলী ওরফে নওশেদ(৫০)দ্বয়কে যাবজ্জীবনসহ পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং এনামুল (৫০) ও মিন্টু আলী দ্বয়ের ১০ বছরের কারাদন্ড সহ ২৫হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর সাজা খাটতে হবে তাদের। এছাড়া এমামলায় লিটন, লালচাঁদ ও রুবেলকে পৃথক ভাবে ৩বছর সাজার আদেশসহ বাকী ৮আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

কেএসসি/পিও