কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎ হোসেন (২৫) নামে চিকিৎসাধীন সর্বশেষ আহত আরও এক ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ দিন পর তার মৃত্যু হলো।
তবে বিধিলঙ্ঘনে সংঘটিত ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ থাকলেও মামলা করেনি কেউ।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. নাসরিন বানুকে প্রধান ও ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত এবং কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলমসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটি ইতোমধ্যেই তদন্ত শেষ করে ঘটনাস্থলে বিধিলঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিপিসিতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের যে কারণ ধারণা করা হচ্ছে তা স্পষ্ট অপরাধ; তবে এতো বড় ঘটনার শিকার হয়েও এখনো কেউ মামলা করলো না কেনো তা বুঝতে পারছি না, জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দানকারী কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিদগ্ধ আহতদের উদ্ধারকালে ওই পেট্রোল পাম্পে সতর্কতা অবলম্বনে যেসব বিধি পালনের কথা তার কিছুই সেখানে মানা হয়নি। সেই সাথে এ ঘটনায় যারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন তারা কেউই দাহ্য পদার্থ নাড়াচাড়া করার কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
এর আগে, ১২ আগষ্ট ওই পেট্রোল পাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন: উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের শাহাজুদ্দীনের ছেলে শাহাজুল (৩৫) ও একই এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় (১৬)। দগ্ধ হযে গুরুতর আহত অবস্থায় গত ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মো. রাজিব উদ্দিন (২৫) ও ১৮ আগস্ট ভোরে রিমন (১৪) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। আর সর্বশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া বিদ্যুৎ হোসেন ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তার শরীরের ৩৭ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ পেলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
মন্তব্য জানতে চেয়ে দফাদার ফিলিং স্টেশনের মালিক আফানুজ্জামান জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।