কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের এবং রোগীর স্বজনদের বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দলাল চক্রের তিন ৩ মহিলা আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

২৮ আগষ্ট রবিবার সকাল ১১ টার হাসপাতাল চত্বর থেকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফাতুর নাহার ও ইশিতা আকতার এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দালালরা গরীব রোগীদের প্রতারণা করে হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি প্যাথলজিগুলোতে নিয়ে যেত। এবং কুষ্টিয়া সহ জেলার বাইরে থেকে আসা স্বজনদের জিমি করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নিত। এরই পরিপেক্ষিতে ২৮ আগষ্ট সোমবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তিন জন মহিলা দালালকে আটক করে র‍্যাব-১২ । পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে ১ মাস এবং অপর দুইজন ২১ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আটককৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরস্থ হাউজিং বি-ব্লক এলাকার মজিবর রহমানের মেয়ে শাপলা খাতুন (২৭),ইবি থানাধীন,শেখ পাড়া, এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ময়না খাতুন(৪০) এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস এলাকার মৃত হারুন মন্ডলের মেয়ে জুথি খাতুন(৩০)।

আটককৃত ৩ মহিলা দালাল এর আগেও বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয় এবং জেল-জরিমানা ভোগ করেছে বলে জানা যায়।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফাতুর নাহার বলেন, হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভ্রান্ত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দন্ডবিধি ১৮৬ ধারায় তিন জন মহিলা দালালকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শাপলা কে একমাস, ময়না এবং জুথি খাতুনকে ২১ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএফসি/কেওকে