কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার স্ত্রী হত্যা মামলায় আসাদুজ্জামান (৩৯) ওরফে কামাল কবিরাজ নামে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘেষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত হলো- মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে কামাল কবিরাজ(৩৯)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে পারিবারিক কলহের জেরে স্থানীয় তালবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ডলি খাতুন(৩০)কে তার স্বামী আসাদুজ্জামান ওরফে কামাল মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় অচেতন হয়ে পড়া ডলি খাতুনকে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখায় তার মৃত্যু হয়। ডলি খাতুনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে একই উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পিতা বহুরুল ইসলাম পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে করে মেয়ের শ^শুড়বাড়ি গিয়ে মেয়ে ডলি খাতুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল েেথকে নিহত ডলি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ১৫ এপ্রিল,২০১৯ তারিখে নিহতের পিতা বহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে নিহত ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান ওরফে কামাল কবিরাজসহ ৪জনের নামোল্লেখসহ মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৬ জুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলিম ৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মিরপুর থানার স্বাস্থ্য সহকারী ডলি খাতুন হত্যা মামলাটি দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামী আসাদুজ্জামান ওরফে কামাল কবিরাজের বিরুদ্ধে আনীত স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজা খাটার আদেশ দিয়েছেন আদালত।’ এমামলায় অপর তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এইচএ/কেএসসি