অগ্রীম বাসা ভাড়া না দেওয়ায় ২৪ বছরের এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফরিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়ায় শহরের চৌড়হাসের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ৫ম তলা বিশিষ্ট বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ফরিদ ওই বাসার মালিক।
জানা যায়, চলতি বছরের ঈদ-উল ফিতরের পর তরণী ওই বাসায় ভাড়া উঠেন। ওই বাসায় ফরিদের স্ত্রী থাকতেন না। বাড়ির তিন তলায় থাকতেন ফরিদ। অগ্রীম বাসা ভাড়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় টানা ১ মাস যাবৎ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর।
ভুক্তভোগী তরুণীর সূত্রে, স্থানীয় একটি কাঠের দোকান থেকে ফরিদুর রহমানের সাথে আমার পরিচয় হয়। আমার সকল অসুবিধার কথা শুনে তিনি আমাকে তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে উঠতে বলেন। তখন আমি তাকে বলি, আমার কাছে তো এখন ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা নেই, এই মাস গেলে আমি আপনাকে ভাড়া দিয়ে দেবো। তারপর ৩/৪ দিন একেরপর এক ফোন দিয়ে বলতেন, তুমি আমার বাসায় কবে আসবা?
ঐ তরুণী বলেন, আমি উনার বাসায় উঠলে তিনি আমাকে বারবার বলতেন, তোমাকে আমার ভালো লেগেছে। উনার বৌ এখানে থাকে না, তিনি ভাড়ার জন্য আমাকে নিয়মিত চাপ দিচ্ছিলেন। তখন আমি বললাম, আপনাকে তো বলেই নিয়েছি এই মাসটা চলে গেলে আপনাকে আমি ভাড়া দিয়ে দেবো। আমি অগ্রীম দিতে পারছি না, আপনি আমার জিনিস রেখে দেন আমি ভাড়া দিয়ে জিনিস ছাড়িয়ে নিয়ে যাবো। উনি আমাকে যেতেও দেবে না। দরজা খোলা ছিল তারপর উনি দরজা বন্ধ করে আমাকে ধর্ষণ করেন এবং বলেন তোমাকে ভাড়া দেওয়া লাগবে না।
ঐ তরুণীর দাবী, তারপর থেকে প্রতিদিন এভাবে ধর্ষণ করেন এবং বলেন ভাড়া দেওয়া লাগবে না থাকতে হবে। না হলে সবকিছু তোমার বাড়িতে আমি বলে দেবো। তোমার বাপ মায়ের সাথে আমি বলবো, তুমি আমার সাথে থেকেছো। এসব বলে তিনি আমাকে হুমকি দিতেন। পরে আমি উপায় না পেয়ে আমার ফোন বিক্রি করে ভাড়া দিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
অভিযুক্ত ইবির সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফরিদুর রহমান বলেন, ওই মেয়ে আমার বাড়িতে এক মাস ভাড়া ছিল। বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিভিন্ন জায়গায় আমার লোন নেওয়া আছে, যার কারণে আমি কাউকে ভাড়া ছাড়া বাসায় রাখতে পারিনা। তাছাড়া সে ঠিক মত ভাড়া দিত না এবং ভাড়া কম দিতো। যার কারণে তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হলে সে নানা টালবাহানা করে এবং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে গণমাধ্যম নিউজ দেখেছি। ঘটনাটি সত্য হলে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
আরএ/কেএসসি