কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার শিশু ধর্ষন মামলায় সুজন(২৬) নামে প্রতিবেশী যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘেষনা করেন।
দ-প্রাপ্ত হলো- দৌলতপুর উপজেলার আলী নগর গ্রামের বাসিন্দা শাহারুল মন্ডলের ছেলে সুজন(২৬)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাড়িতে পিতামাতার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশী যুবক সুজন বাদিনীর শিশু কন্যা(১৪)কে জোরপুর্বক টেনেহিচরে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। এসময় শিশুটির আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের অন্যান্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুজন গুরতর আহত শিশুটিকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে আহত শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
এঘটনায় আহত শিশু কন্যার মা গৃহকর্মী মঞ্জুরা খাতুন বাদি হয়ে সুজনকে একমাত্র আসামী করে দৌলতপুর থানায় ধর্ষন মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলাটি নিতে গড়িমসি করলেও অবশেষে ঘটনার পর ৪দিন অতিবাহিত শেষে ৫ম দিনে ০২জানুয়ারী,২০১৯ তারিখে বাদির এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষক সুজনের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষনে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. আব্দুল হালিম নিশ্চিত করে বলেন, ‘দৌলতপুর থানার শিশু ধর্ষন মামলাটি দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামী সুজনের বিরুদ্ধে আনীত শিশু ধর্ষনে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজা খাটার আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
এইচএ/কেএইচসি