মাদক সম্রাজ্ঞী উল্কার ভাবীর আত্মহত্যা, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো স্বামী ও তার পরিবার!
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খয়েরচারা গ্রামে বহুল সমালোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী উল্কার ভাবী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূর বাবার দাবী তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
রোববার রাত ১১ টার দিকে স্বামীর বাড়ির শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে তার ঝুলন্ত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত গৃহবধূ কুষ্টিয়া সদর থানার মোল্লা তেঘড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কাজলী খাতুন (২৪)।
কাজলী খাতুনের বাবা আবুল কালাম জানান, ৪ বছর পূর্বে কুমারখালীর খয়েরচারা গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে রাজিবের সাথে পারিবারিক ভাবে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নির্যাতন করতো রাজিব ও তার পরিবার। গত ২ দিন আগে তার মেয়ে কাজলী ফোনে তাকে জানায় রাজীবের জন্য সেলুনের দোকান কিনতে ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। তিনি ঈদের পর এনজিও থেকে লোন তুলে টাকা দেবার আশ্বাস দেন মেয়েকে। এরই মধ্যে রোববার রাত ১১ টার দিকে রাজিব তাকে ফোনে কাজলীর অবস্থা খুব খারাপ বলে জানায় এবং দ্রুত কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলে। তিনি হাসপাতালে এসে তার মেয়ের মরদেহ দেখতে পান।
তিনি আরো বলেন, রাজীব নিজেকে অবিবাহিত বলে আমার মেয়েকে বিবাহ করে। ঘটকের মাধ্যমে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়। তখন খুব বেশি খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। ওর একটা বোন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। ওঁরা আমার মেয়েকে এর আগেও যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
তিনি দাবী করেন রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি বিচার দাবী করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাজীব ও তার বোন উল্কা কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী উক্লা। কাজলীর দুই বছরের একটা শিশু সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ব্যাপারে ইউডি মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। পারিবারিক কারণ থেকে শুরু করে স্কুলশিক্ষার্থীরাও হত্যার মতো জঘন্য কাজটি করছে।আত্মহত্যা মহাপাপ বিষয়টি আমরা জানি। তবে মানুষ যখন নিজের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন আত্মহননের পথটি বেছে নেয় বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।