চাঁদার টাকা না দেয়ায় দাকান ভাংচুর ও উচ্ছেদ বিচ্ছু বাহিনীর
কাউন্সিলর কোশিকের নাম থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবদক:: কুষ্টিয়ায় রথযাত্রা উৎসব চাঁদার টাকা না দেয়ায় দোকান ভাংচুর ও উচ্ছেদ বিচ্ছু বাহিনীর, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোশিক আহমেদ ওরফে বিচ্চুর নামে থানায় অভিযাগ দায়ের করেছেন ভুক্তভাগী দোকানাদার। অভিযাগ সুত্র জানা যায়, মাঃ সাচ্চু ইসলাম (৩০), পিতা আমিরুল ইসলাম, জুগিয়া কদমতলা। তিনি পেশায় একজন ভ্রাম্মমান ব্যবসায়ি। গত ৩০/০৬/২০২২ইং বহস্পতিবার কুষ্টিয়া রথযাত্রা মপলায় বাচ্চাদের খেলনার দোকান দেন তিনি। কিছু লাভের আশায় বাটার ফ্লাই মোড় নামক স্থানে দোকান সাঁজিয়ে বসেন তিনি। সই সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোক এসে এখান যায়গা নিতে হলে ৩০০ (তিনশত) টাকা চাঁদা দিত হবে। মাঃ সাচু ইসলাম তাদর নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন আমরা ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিছুর লাক। তিনি কোন কিছু না বলে তাদর টাকা দিয় দেন। তারা টাকা নিয়ে পাশের দোকান চলে যায়। পরর দিন ০১/০৭/২০২২ইং শুক্রবার সকাল ৮টার সময় কোশিক ভায়পর লোক পূনরায় চাঁদা নিত আসেন। দোকানদার সাচ্চু ইসলাম তাদের টাকা দিতে না চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকপ। গালি দেয়ার একপর্যায় দ সাচচুর দোকান ভাংচুর চালায় এবং সেখান থেকে উচ্ছেদ করেন তারা। নিরুপায় হয় কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভুক্তভাগী দোকানদার একটি অভিযাগ দায়ের করেন। বহস্পতিবারের সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, শুক্রবার থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বহস্পতিবার সকল দোকানগুলা রাস্তার সারি ধরে জমজমাট পূর্ন ভাবে সাজিয়ছিল বিক্রতারা। কিÍ এই সুযাগে ইজারার কথা বলে প্রতি দোকান থেকে মোটা টাকা চাঁদা তুলছে বিচ্ছু বাহিনীর লোকজন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছন স্হানীয়রা। তারা বলছপ কুষ্টিয়া পরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমপদ ওরফে বিচ্ছুর লাকজন প্রতি দোকান থেকে মোটা অংকের এই চাঁদা তুলছে বলে ফুটপাতের অস্হায়ী দোকানদাররা অভিযাগ জানিয়ছিলেন তাদের কাছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে সরোজমিনে হাজির হন দৈনিক সূত্রপাত পত্রিকার টিম। তারা তুলে আনেন আসল সত্যটা। আনিস নাম একজন খেলনা বিক্রতা বলপন, কাল মেলা শুরু হব অথচ আজকই আমার কাছ ইজারার কথা বল ২৫০ টাকা নিয়েছে। সেই সাথে আমার আশেপাশের দোকানদারদের কাছ থেকপও টাকা নিয়েছপ। আমি জিজ্ঞস করলাম ইজারা কে নিয়েছে তারা বললা আমরা ৮নং কাউন্সিলর বিছুর লাক, ইজারা ছাড়া কি এমনি এমনি তোমাদের থেকে টাকা নিচ্ছি। ভয় দিয়প কাল আবার আসবো বলে চলে যান তারা। আরেকজন খই বিক্রেতা জাহিদ বলল, আমি বিছু লাকদের আজ (বহস্পতিবার) টাকা দিয়েছি। আমি কৌশিক বা বিচ্ছু নামে কাউকপ চিনি না। ইজারা নিয়েছপ তাই সবাই দিচছে আমিও ৩০০ টাকা দিয়েছি তাদের। কালকে শুক্রবার নাকি বেশি টাকা দিতে হবে। এছাড়াও জিলিপী বিক্রতা শাহিন, সরবত বিক্রতা রজব আলী, দাঁ কুড়াল কাঁচি বটি বিক্রতা সিকাদার, পান সিগারট বিক্রপতা রতন প্রামাণিক ও আরপক খপলনা বিক্রতা জসিম উদ্দিন এরা সবাই এই বিষয় মুখ খোলেন। এদপর সবার কাছ থেকেই ইজারার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নেয়। আগামীকাল আরও বশি টাকা নেয়া হবে বলেও জানানা হয়েছে। সুত্রে আরও জানা যায়, মুলত ইজারা দেয়া হয়েছে বড়বাজার ও রাজার হাট এড়িয়ার জন্য। কিন্তু সেই সুবাবিধেয় নাকি এই টাকা তোলা হচ্ছে সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত এই হিসবে আলাদা করপ কোন ইজারা দেয়া হয়নি বলে জানায় কর্তপক্ষ। এত পৌরসভার কোন নির্দেশনাও নেই বলপও জানান তারা। এই বিষয় কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকশলী মা: রবিউল ইসলামর সাথপ কথা বললে তিনি জানান, রথ উৎসব মেলার জন্য কোন প্রকার ইজারা দেয়া হয়নি, যদি কউ এমন টাকা তুলপ থাকে তবে সেটা বপআইনী। এখানে এমন কান কিছু করার কান সুযাগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয় কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শেখ কৌশিক আহমেদের সাথে ০১৭১১-৪৪৫৩০৩ নং মুঠোফোন যোগাযাগ করার চেষ্টা করলে প্রতিবেদককে সাড়া দেননি