কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝিনাইদহ মহাসড়কের আট মাইল নামক স্থানে জলাশয় সংস্কার মাধ্যমে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পে দুটি স্কীমের মাধ্যমে খনন কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের স্কিম তৈরীর ক্ষেত্রে মৎস্য আইনে নিয়ম কানন না মেনে জালিয়াতি ভাবে স্কীম তৈরী করে মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে এসেছেন রহিদুল ইসলাম। এই প্রকল্পের মূল হোতা রহিদুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল আহমেদ অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্প এনে নাম মাত্র স্কেভেটর দিয়ে কোন ভাবে আচড়ে মাটি সমান করে খনন কাজ করছে। যেখানে সাড়ে ৩ ফিট মাটি খননের কথা রয়েছে সেখানে মাত্র ১ ফিট ডিপ করে কাজ করছে। এই কাজ সম্পর্কে আরো খোঁজ খবর নিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা অনেকেই এই রহিদুল সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করছে। ভবানিপুর গ্রামের রহিদুল ইসলাম প্রস্তাবিত কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক। তিনি যতটা পদধারী তার চেয় দশ শুন নিজেকে জাহিরী করে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে কাজ করছেন। এক সময়ের কমিউনিষ্ট এর শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজের ফুফাতো ভাই এই রহিদুল ইসলাম। সেই সূত্র ধরে অন্ধকার জগতেও তার পদার্পন ঘটে। সেখানেও তিনি বড় ধরণের প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছেন। একসময়ের ক্রসফায়ার এর আসামী রহিদুল ইসলাম গায়ে দলীয় লেবাস লাগিয়ে জনসম্মুখে ঘুরাঘুরি শুরু করে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে তিনি কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসের একটি সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত হয়ে এসব প্রকল্প নিয়ে এসে পুকুর খননের নামে নাম মাত্র কাজ করে সম্পূর্ণ অর্থ হরিলুট করায় তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের ক্রীমে ২৩ লক্ষ ঢাকার প্রকল্প এনে যে কাজ করছেন এখানেও তিনি কমিটিকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে। মানা হয়নি কোন মৎস্য আইন। কুষ্টিয়ার সপ্ত জনপথের জায়গায় প্রকল্প দিয়েছে রহিদুল ইসলাম। আইন অনুযায়ী সওজ ও জনপথের কাছ থেকে মাটি খনন এর জন্য এনওসি নিতে হয় তা না নিয়ে জালিয়াতি করে ভুয়া এনওসি বানিয়ে এই ক্রীম দেয়া হয়েছে। এর সার্বিক সহযোগিতা করেছে কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কুষ্টিয়া।প্রতিবেদক এই সব অনিয়ম ও দূর্নীতি কথা মুঠোফোনে রহিদুল ইসলামের কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি এবং সওঙ্গ জনপথের এনওসি রানিং বছরের রয়েছে। আবার বলে এটা ২০১৯ সালের এনওসি আপনারা নিউজ করবেন না। যেখানেই থাকেন সরাসরি আমার সাথে এসে দেখা করেন, বিষয়টি মিটিয়ে ফেলি।
এই ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী সোহেল আহমেদ এর কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। আমরা সবাই ভাই ভাই কি দরকার এগুলো করার আপনাদের সাথে আমি এবং রহিদুল সাক্ষাত করে বিষয়টি সমাধান করে নিবো।কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে বিষয় টি অবগত করলে তিনি বলেন, আপনারা আগেই নিউজ করবেন না কুষ্টিয়ায় প্রায় ০৯ টি প্রকল্প এসেছে অনেক যায়গায় ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু রহিদুল ইসলাম এর প্রকল্প টি আমি নিজেও দেখাছি কাজ টা সন্তোষ জনক নয়, তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। আমি উপজেলা অফিসকে বিষয়টি বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য । তারপর কমিটি ও এনওসির বিষয়ে যানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খুবই জটিল বলে মনে হচ্ছে। কুষ্টিয়া সওজ ও জনপথের নির্বাহি প্রকৌশলীর কাছে এনওসি বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের রাস্তার কাছে যেসব জলাশয় গুলো রয়েছে। এই জলাশয় গুলো খনন করার কোন অনুমতি আগেও ছিলো না, এখনও নেই। যদি কেও এটা করে থাকে তাহলে জালিয়াতি করেছে। অত্র এলাকার জনসাধারণ রহিদুলের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।