কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুল থেকে ফেরার পথে ফুঁসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্থানীয় ব্রাক স্কুলের প্রথম শ্রেনীতে পড়–য়া এক শিশুকণ্যা(৭)কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আইয়ুব আলী(৬৫) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার ১১নং চরসাদিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভৈরবপাড়া গ্রামে সংঘটিত এই শিশু ধর্ষণের এঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রাম পুলিশ ওই বৃদ্ধকে আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশে সৌপর্দ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে দফাদার মোজাম্মেল হক।
১১নং চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁ বলেন, ‘গতকার রাতে ঘটনাটি আমি শুনেছি, ওই পরিবারকে বলেছি, যেটা ভালো মনে হয় সেটা করো। আজ সকালে শুনলাম ভৈরবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলীকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে।’
বুধবার (১৫জুন) সকালে শিশু ধর্ষন ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক বৃদ্ধ আইয়ুব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
শিশু কন্যার মায়ের অভিযোগ, ‘আমার বাপের বয়েসি এই বুড়ো মানুষটা কিভাবে এমন সর্বনাশ করতে পারে ? তার কি বিবেকে একটুও বাধলো না ? আমার দুধের বাচ্চা মেয়েকে এবছরই স্কুলে দিয়েছি, গতকাল (মঙ্গলবার) স্কুল থেকে ফেরার পথে বুড়ো আইয়ুব আলী ফুসলিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে ঘরে আটকে এই কাজ করেচে, মেয়ে আমার ব্যাথায় যন্ত্রনায় কানতে কানতে বাড়ি গিয়ে আমাকে জানায়; বাচ্চাডার পন্নের প্যানটা রক্তে ভিজে গেছে। এই অবস্থা দেখে আমি দৌড়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে বিচার চাই। তখন তারাই চোকিদার দিয়ে আইয়ুব আলীকে বাড়ি থেকে ধরি নিয়ে আইজকি (বুধবার) কুমারখালী থানায় নিয়ে আইছে।’ আপনারা দশজন আচেন, আমার মেয়ের এই সর্বনাশ যে করলে তার বিচার চাই।’
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ‘বুধবার সকালে উপজেলার চরসাদিপুর থেকে শিশু ধর্ষণ অভিযোগে আইয়ুব আলী(৬৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে ভিকটিম শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। শিশুটির মা বাদি হয়ে একমাত্র আসামী আইয়ুব আলীর নামোল্লেখসহ এজাহার দিয়েছেন, মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।’