আগামীকাল ২৭ই মে কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং -৭২ এর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার ৬ টি উপজেলার প্রায় শতাধিক বাসস্ট্যান্ড যেন ছেয়ে গেছে ব্যানার ও ফেস্টুন।
স্ট্যান্ড গুলোতে শোভা পাচ্ছে দোদুল্যমান পোস্টার। নির্বাচনী আমেজ যেনো কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের মুল্যায়ন ও কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে তুলেছে। কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নে ৫১৩২জন ভোটার উন্মুখ হয়ে আছে ভোটাধিকার প্রয়োগে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করতে। কেউ কেউ আবার প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে স্ট্যান্ড গুলোকে সরব করে তুলেছে। তবে বরাবরের মতোই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বার বার শ্রমিকদের ভালবাসা, আস্থা, ভরসায় বিপুলে ভোটে বিজয়ী হয়ে কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ সৈনিক মোঃ মাহাবুল আলম (৫৩) ১৫ মার্চ ২০১৫ হতে ০২ মে ২০২২ইং পর্যন্ত ২বার পর পর রেঞ্জ প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাজী মোঃ মসলেম আলীর সুযোগ্য সন্তান। হাজী মোঃ মসলেম আলী কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নে রেঞ্জ প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ৩৩ বৎসর শ্রমিকদের দাবী আদায়ে, শ্রমিক বান্ধব নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়ন চিরদিন স্মরণীয়, বরণীয় হয়ে থাকবেন। বাবার মতো ছেলেও শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন। ইউনিয়নের জন্য বাস, ট্রাক, জমি, ভবন দ্বিতলা করণ, অনুদান ইত্যাদি অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ১ম নির্বাচিত হয়েই সম্মানিত শ্রমিকদের পরামর্শে কমিটির সবাইকে নিয়ে নোটিশ করেছিলেন কেউ মদ্যপান করে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না, করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ৬বছরে এটা সম্ভব হয়েছে। অত্র ইউনিয়নের নামে দুইটা বড় বাস ক্রয়, ডিজিটাল কার্ড, নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাব, নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেম, নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা, বয়স্ক ভাতা, মৃত ব্যাক্তিদের এককালীন টাকা বৃদ্ধিকরণ এবং অতি দ্রুত পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়া (সংবিধান অনুযায়ী), শ্রমিকদের বিপদে পাশে গিয়ে আর্থিক, সার্বিক সহযোগিতা করা সহ ইত্যাদি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
অতীতের ন্যায় এইবারও রেঞ্জ প্রতীকে সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ মাহাবুল আলম জানান, শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের সর্বাধিক চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের সাথে নিয়ে ক্রয়কৃত জমিতে নিজস্ব ভবন তৈরি করার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমার বাবা যেভাবে আমাদের শ্রমিক ভাইদের পাশে ছিলেন আমিও বাবার মতো শ্রমিকদের বিপদে আপদে পাশে থাকবো।