কুষ্টিয়ায় বৃষ্টিতে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ৪জনের লাশ দাফন সম্পন্ন
অঙ্গীকার ডেস্ক : কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ার আস্তানগরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একই পরিবারের ৩জনসহ নিহত ৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ময়না তদন্ত শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে তাদের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে নিহতের স্বজনেরা আস্তানগর পারিবারিক কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন।
ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদি হাসান জনি। তিনি জানান, নিহত ৪ জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপরি আঘাত করা হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল সংঘর্ষে নিহত ৪জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ওসি।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় শোকের মাতমের পাশাপাশি এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারও সংঘর্ষের আশংকায় আতঙ্কিত এখানকার সাধারণ মানুষ।
আর ন্যাক্কারজক এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল আসামীকে অতিদ্রুত গ্রেফতার ও তাদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্বজনরা।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহর সাথে ফজলু মন্ডলের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সোমবার বিকেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে আসামীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। জিঙ্গাসাবাদের জন্য ১০জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের চিন্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত উল্লাহ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাবেক ইউপি সদস্য ফজলু মন্ডল গ্রুপের সংঘর্ষে ফজলু মন্ডলের ছোট ভাই কাশেম মন্ডল, ভাতিজা লাল্টু মন্ডল ও মতিয়ার মন্ডল এবং কেরামত উল্লাহ সমর্থিত রহিম মালিথা নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয় অন্তত আরো ১৫জন।