কুষ্টিয়ায় পুকুর খননে মিললো পাথরের মূর্তি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে এস্কেভেটর দিয়ে পুকুর খননকালে তলদেশ থেকে একঠি পাথরের মুর্তি পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ধারণা প্রাচীন এই মূর্তিটি কষ্টি পাথরে খোদায়কৃত বিষ্ণু মূর্তি।
শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মন্দির পাড়ার বাসিন্দা জনৈক তাহের কমান্ডারের বাড়ীর পার্শ্বে পুকুর খননের কাজ চলছিলো। এসময় মাটির মধ্যেথেকে এই পাথরের মুর্তিটি উঠে আসে। সেখানে আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। পরে এটি একটি কষ্টি পাথরের বলে ধারণা করায় উৎসুক জনতার মাধ্যমে সংবাদটি ব্যাপক হারে চারদিকে ছড়িয়ে পরে। সংবাদ পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ প্রায় ৩০ কেজি ওজনের এই পাথরের মুর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে নৃতত্ত¡বিধ কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সামাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, “বিষয়টিকে নিছক পাথরের মুর্তি পাওয়া হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। পুকুর খননকালে মাটির নীচ থেকে পাথর খোদায় পুরাতন মুর্তিটি কোথা থেকে আসল ? মুর্তিটি যদি শত শত বছর আগে থেকেই ওখানে থেকে থাকে তাহল সেখানে নৃতাত্তি¡ক নিদর্শন বা পুরাকির্তীর আরও কোন নিদর্শন থাকার সম্ভাবনা খুব বেশী। নতুবা কেবলমাত্র এই মুর্তিটিই ওখানে ছিলো বলে প্রমান হয় তাহলে মুর্তিটি কোন এক সময় কেউ ফেলে যেতে পারে”।
ঘটনার সত্যা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুর্শা গ্রামে পুকুর খোড়ার সময় একটি পাথরের মুর্তি পাওয়া গেছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মুর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। এটি আসলে বিষ্ণু মূর্তি, নাকি কষ্টি পাথরের মুর্তি নাকি পুরাকীর্তি সেটি এমুহুর্তে বলা মুস্কিল। পুরাকীর্তি সম্পর্কে যারা বিশেষজ্ঞ তারাই ভালো বলতে পারবেন। বিষয়টি সুরাহার জন্য আগামীকাল আদালতের পরামর্শ চাইবে পুলিশ। এছাড়া এমনও হতে পারে কোন দুর্বৃত্তচক্র কোন এক সময় ৩০ কেজি ওজনের মুর্তিটি চুরি করে পাচারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েও ওই পুকুরে ফেলে যেতে পারে। সবগুলি বিষয়ই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।