কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষককে গ্রেফতার দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মানব বন্ধন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষন করে অচেতন অবস্থায় ভাগারে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদ ও জড়িত লম্পট লিংকনের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান হামিদুল হক। ধর্ষন বিরোধী এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়া শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অবিলম্বে ধর্ষক ও লম্পট লিংকন গংয়ের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এসময় পরিবার ও শিক্ষকবৃন্দ জানান,গত ১৭ মার্চ বিকেলে ৭ম শ্রেনীর ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় বড়গাংদিয়া বাজারে থেকে কিছু বাজার সদায় করে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় আবুল কাশেম মেমোরিয়াল পাকা রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ধর্ষক লিংকন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে জোর পূর্বক মুখে ওড়না পেচিয়ে অপহরণ করে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে দ্রæত কুষ্টিয়া শহররের দিকে চলে যায়। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে তার মুখে ওড়না পেঁচিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে স্কুল ছাত্রীর জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। অচেতন অবস্থায়ই ওই স্কুল ছাত্রীকে লিংকনসহ সহযোগিরা পালাক্রমে ধর্ষন শেষে অচেতন অবস্থায় কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড় সংলগ্ন পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে জরুরী সেবার ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, আড়িয়া ইউনিয়নের ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ধর্ষক লিংকন গংয়ের ৩জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।