কুষ্টিয়ায় ৩তলা ভবনের নিচ দিয়ে পৌরসভার ড্রেন নির্মান পৌরসভা বলছে এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব
কুষ্টিয়ায় আস্ত ৩তলা ভবনের নিচ দিয়ে পৌরসভার ড্রেন নির্মান করে আবারো বিতর্কে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম। কিন্ত তিনি বলছেন এটি সড়ক ও জনপথের বিষয়। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থিত মাদ্রাসা পুকুওে গড়ে নিজস্ব মালিকানায় ৩তলা ভবন। সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে পুকুর ভরাট করে ৩তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং স্থাপন করা হয়। বিল্ডিংটি স্থাপন করেন কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড জুগিয়া স্কুলপাড়ার বাসিন্দা শাহ্ আলম বাকী (৬০) ।
কুষ্টিয়া পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে ড্রেন নির্মাণ কাছে দৃশ্যমান স্বজনপ্রীতির গন্ধ পাচ্ছে স্থানীয়রা। একই সাথে প্রধান এই সড়কটি ৪ লেনে উন্নিত কাজও চলমান। সব মিলিয়ে সবার চোঁখের সামনে দিয়েই ৩তলা ভবনের মধ্য দিয়ে ড্রেন নির্মানের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। সবাই বলছে বিল্ডিং ভাঙ্গার কথা থাকলেও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও নির্মানকারী প্রতিষ্ঠাকে ম্যানেজ করে তিনতলা বিল্ডিংয়ের নিচ দিয়ে ড্রেন নির্মান করা হয়। এতে আর্থিক সুবিধার কথাও তুলে ধরেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ড্রেন নির্মানের সময় যখন ড্রেনের কাজ শাহ্ আলম বাকীর ভবনের সামনের অংশে চলে আসে তখন স্থগিত করে রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনটেক। ভবনের নিচ তলা জুড়ে রয়েছে রডের দোকান। কিছু দিন পর দেখ যায় তিনতলা বিল্ডিংয়ের সামনের অংশে রাতের অধাঁরে দোকানের শার্টার বন্ধ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা কাজটুকু সমাপ্ত করে।
এ বিষয়ে শাহ্ আলম বাকীর ছেলে জীবনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনারা এসে সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আপনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম অথবা প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিনের সাথে কথা বলতে পারেন। আমি কিছু জানি না। আপনাদের যা জানার আপনারা তার সাথে কথা বলেন।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের কাজ আমরা শেষ করেছি, বিল্ডিংটি সড়ক ও জনপথের যায়গার উপর তাদের সাথে আমরা মিটিং করে ড্রেন নির্মানের কাজ আমরা শেষ করেছি। এই সময় আমাদের প্যানেল মেয়র ১ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ শাকিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই ভবনটি অনেকদিন আগে তৈরি করা, আমরা ভবনটি ভেংগে নেবার বিষয়ে জানিয়েছি, তারা যদি নিজ দায়িত্বে ভেংগে না নেয় তবে আমাদের চলমান কাজের স্বার্থে ভবনটির সামনের বেধে যাওয়া অংটুকু ভেংগে দিব।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে কোন কিছু জানিনা, এটি পৌরসভার ইঞ্জিয়ারের কাজ তারা ভালো বলতে পারবে।
প্রতিপাদ্য বিষয়কে ঘিড়ে এই অন্যায়মূলক কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টিআকর্শন করে স্থানীয় ও সচেতন মহল বলেন, দূর্নীতির আগ্রাসন থেকে কুষ্টিয়াকে বাঁচাতে ও কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রুপকার জননেতা মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপির মর্যাদা রক্ষার্থে বিতর্কীত এই ভবনের সামনের অংশটুকু অপসারন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন তারা।