কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান হত্যা মামলার পলাতক ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার (গতকাল) দিবাগত রাতে র্যাব-১২ এর সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্প জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিদ্দিকুর রহমান হত্যা মামলার পলাতক ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত সোনা মালিথার ছেলে মিন্টু মালিথা (২৮), চাঁদপুর গ্রামের নজরুল মালিথার ছেলে রনি মালিথা (২৮), একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ওরফে কটার দুই ছেলে জনি (২৮) ও ড্যানি (২৫) এবং একই গ্রামের মৃত জফো প্রামানিকের ছেলে জারমান প্রামানিক (৪০)।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথার দেখানো জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মিন্টু ও রনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। স্থানীয় অনেকেই মিন্টু ও রনিকে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেখেছে। এ ছাড়া বাকি তিন আসামি হত্যাকাণ্ডে তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বংশগত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ মালিথা বংশের লোকজন কর্তৃক তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চাঁদগ্রাম চরে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি করে তিন নম্বর চন্ডিপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন শনিবার রাতে নিহতের ছোট ভাই ইউপি সদস্য এনামুল হক বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সস্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন এবং তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনকে প্রধান করে ২০ জনের নামে মামলা করেন।