এলপিজি গ্যাস ভর্তি ট্যাংকার উল্টে ২৪ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরুদ্ধ, চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি
\ কুষ্টিয়ায় বেহাল রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এলপিজি) ভর্তি ট্যাংকারবাহী একটি ট্রাক সম্পূর্নরূপে আড়াআড়িভাবে মহাসড়কের উপর উল্টে পড়ে আছে গত ২৪ঘন্টা ধরে। এতে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। চরম দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ পশ্চিমা ল ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলার যানবাহন ও মানুষ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, উন্নত প্রযুক্তির বড় ক্রেন ছাড়া গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার সরানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় ২৪ঘন্টা ধরে মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানায়, রবিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে বড় সিলিন্ডারবাহী ১০ চাকার একটি ট্রাক প্রায় ১৭ টন এলপিজি নিয়ে নাটোর যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর বহলবাড়িয়া এলাকায় ভাঙাচোরা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়। আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। গ্যাসভর্তি ভারী সিলিন্ডার অতি ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় সেটি স্থানীয় কোন পদ্ধতিতে সরানো সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এবং পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেনের সাথে কথা বলে ট্যাংটি উদ্ধারে প্রযুক্তি সহায়তা চাওয়া হয়েছিলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীদের কাছে।সেখান থেকে একটি কারিগড়ি টিম ঘটনাস্থলে এসে দেখার পর তরল গ্যাসভর্তি ওই ট্যাংকটি উদ্ধার চরম ঝুঁকিপূর্ন আখ্যা দিয়ে তারা ফিরে যায়। যে কোন সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হতে পারে এমন আশংকা থেকে তারা ঝুঁকি নিতে চাননি। ফলে দীর্ঘ ২৪ঘন্টার যানজটের কোন সমাধানই করা যায়নি।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখার সময় উদ্ধার কাজ চলছে এমন দাবি করে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো: জানে আলম বলেন, স্থানীয় কারিগড়ি পদ্ধতি (চেইন কপ্পার) ব্যবহার করে অন্তত রাস্তা থেকে সরিয়ে যানজট মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঠিক কি নাগাদ সম্ভব হবে তা বলা মুস্কিল। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ প্রশাসন ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে কাজ করছে। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ন গ্যাস ভর্তি ট্যাংকবাহী লরিটি সরাতে অন্তত দুইটি ভারী ক্রেন এবং ট্যাংকের গ্যাস অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিও লাগবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই লরির মালিকপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলি আনতে চাপ দেয়া হচ্ছে।