হরিপুরে প্রতিনিয়ত চলছে জুয়ার আড্ডা যেন দেখার কেউ নেই
অঙ্গীকার ডেস্ক : সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড গুলোতে লাখ লাখ টাকার জুয়ার বাণিজ্য চলে। সাধারণ জনগণকে এমনভাবে বুঝিয়ে রাখছে প্রশাসন যেন তাদের হাতের মুঠোয় এ বিষয়ে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলেন তারা বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন কায়দায় প্রশাসনের ও নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চালাচ্ছেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শেষ সীমানা ভূত মরে এই জুয়ার বোর্ড।
তাছাড়াও হরিপুরের কাবিল পাড়া, ফারাজীপাড়া সাগর খালি মাঠ, বোয়ালদাহ সেনের মাঠের আশেপাশে, বোয়ালদাহ মাঠ, ফকির পাড়া আলিম উদ্দিনের বাগানে, পুরাতন কুষ্টিয়া সিরাজ শেখের বোরিং, গোপিনাথ পুর গোরস্থান, কালিপাড়া স্কুলের খাদে,পদ্মা নদীর ঘাটে, নীল কুঠির আশেপাশে সহ বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারা রাত ব্যাপী চলে জুয়া (তাস) খেলার মহা উৎসব। আর এই জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড যারা পরিচালনা করে তারা এলাকার মানুষদের জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই ধরণের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই চলে নানা হুমকি ধামকি আর নানা ষড়যন্ত্রের নোংরা খেলা। তাই কেউ আর প্রতিবাদ করতে চায় না। যারা এই জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড পরিচালনা করে তারা এক সময় অভাবে সংসার চালালেও এখন রাজকীয় ভাবে দামী গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে গেছে। এই জুয়া (তাস) খেলার বিভিন্ন স্পটে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে আইনের আওতায় আনলেও কিছুদিন পর আইনের বেড়াজাল ছিন্ন করে অনায়াসে রমরমা জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড চালিয়ে যায়। যার ফলে জুয়াড়ীরা জুয়ার টাকার জোগান দিতে নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে পাশাপাশি পারিবারিক কলহ, বিবাদ ও প্রতিনিয়ত আত্নহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন মহিলা জানান, আমার স্বামী বালির নৌকায় বালি কাটার কাজ করে যে টাকা আয় করে তার থেকে বেশি টাকা দিয়ে জুয়া খেলা করে। বাড়িতে চাল, ডাল, তরকারি না থাকলেও জুয়ার টাকা আগে লাগে তার। জুয়ার টাকা না দিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। আমার বাবা বিয়ের সময় লাখ টাকার গহনা দিয়েছিলো যা এখন আমার স্বামী জুয়া খেলার জন্য এলাকার সুদখোরদের কাছে বন্ধুক রেখেছে। টাকার অভাবে ছেলে মেয়েদের স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করাতে পারি না। আর জুয়ার নেশায় সে মানুষ থেকে অমানুষে পরিণত হয়েছে। এমন গল্প শুধুমাত্র একজনের নয় এমন হাজারো ঘর, সংসার ভাঙ্গার নিরব ঘটনা ঘটছে এই জুয়া (তাস) খেলার জন্য।
তাই এলাকাবাসীদের দাবী কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার খাইরুল আলম মহোদয় বিষয়টি সুনজরে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হরিপুর কে মাদক ও জুয়া মুক্ত করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তদন্ত সাপেক্ষে এই জুয়া (তাস) খেলার বোর্ড যারা চালায় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সামাজিক ব্যাধি জুয়া (তাস) খেলা বন্ধ করে সাধারণ মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসুক এমনটাই দাবী সকলের।