কুষ্টিয়ায় আ.লীগের ভরাডুবি, নৌকার ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১০টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বহিষ্কারও ঠেকাতে পারেনি আট বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়। জামানত হারিয়েছেন নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থী। এছাড়াও উপজেলার মোট ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জামানত হারানো আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুদ ২৩২ ভোট, বটতৈল ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মন্ডল ১১৪ ভোট ও আলামপুর ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান ১৭৭ ভোট পেয়েছেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯ ইউনিয়নে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান অঙ্গীকার ডেস্ক বলেন, কোনো প্রার্থী যদি প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তার জামানতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। তবে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।
বিজয়ী কয়েকজন চেয়ারম্যান অঙ্গীকার ডেস্ককে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনসমর্থনহীন ব্যক্তিদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।এবং দলীয় নেতাদের অভ্যন্তরীন কোন্দল এবং ইউনিয়নে যারা জনপ্রিয় তাদের বাদ দেওয়ার ফলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। যোগ্যদের বঞ্চিত করে অন্যদের মনোনয়ন দেওয়ার কারণেই নৌকার এমন পরাজয় হয়েছে।