কুষ্টিয়ায় আবরার ফাহাদের মা ও ছোট ভাই টেলিভিশনের সামনে বসে রায়ের খবর দেখছিলেন। রায় শোনার পর আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখনও আবরার ফাহাদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা। বুধবার বেলা ১২টার দিকে এ রায়ের খবর আসে।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর বাকি ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো.কামরুজ্জামানের আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ বুধবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোড়স্থ আবরার ফাহাদের বাড়িতে তার মা রোকেয়া খাতুনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট। তবে বাকিদেরও ফাঁসি চাই। নির্মমভাবে আমার সন্তানকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি দেখে যেন মরতে পারি।