কুষ্টিয়ায় স্বামী ভোট দেবে না জেনে স্ত্রীর ভিজিডির কার্ড কেড়ে নিলেন নৌকার প্রার্থী
ভোট দেবে না জেনে ভিজিডির কার্ড কেড়ে নিলেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নওশের আলী বিশ্বাস। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলীর বিরুদ্ধে খালেদা খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর ভিজিডির চাল না দিয়ে তার কার্ডটি কেরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে নন্দলালপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী বিশ্বাস। কিন্তু ভুক্তভোগীর স্বামী তাকে ভোট দেবে না জেনে স্ত্রী খালেদা খাতুনের ভিজিডি কার্ড কেড়ে নেন তিনি।
খালেদা খাতুন নন্দলালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন চরাইকোলের বাসিন্দা। এ বিষয়ে খালেদা খাতুন বলেন, প্রতি মাসের ন্যায় গতকাল বুধবার আমার ভিজিডির কার্ড নিয়ে পরিষদে চাল উত্তলন করতে গেলে আমার স্বামীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিবাদ থাকায় চেয়ারম্যান চাল না দিয়ে কার্ডটি কেড়ে নিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী খালেদার স্বামী আমজাদ হোসেন বলেন, এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে অস্বীকার করায় আমার স্ত্রীর নামের ভিজিডির চালের কার্ডটি চেয়ারম্যান কেড়ে নেন। আমি টিএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশের আলী বলেন, আমজাদ আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েও সে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করার কথা বলে বেড়াচ্ছে। সে কারণে আমি আমজাদের স্ত্রীর ভিজিডির কার্ডটি কেড়ে নিয়েছি।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন ফেরদৌস বলেন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ভিজিডির কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিডি চালের কার্ডটি ভুক্তভোগীর নিজস্ব সম্পদ। তাতে কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। চেয়ারম্যান যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে তিনি তা ঠিক করেননি।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ভিজিডির চালের কার্ড কেরে নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই চেয়ারম্যানের। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।