কুষ্টিয়ায় বেড়েছে মোটা চালের দাম
কুষ্টিয়ায় মোটা চালের দাম কেজি প্রতি এক থেকে দুই টাকা বেড়ে গেছে। অন্যান্য সব ধরণের চালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দাম যে কোন সময় বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করছেন। এদিকে সরকার ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
মিল মালিকরা বলছেন, ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে।
সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার এবং বড় বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে অটো রাইচ মিলে ভাঙানো মিনিকেট ধান ৫৮ টাকা, সাধারণ মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, আঠাশ চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি চাল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, কাটারীভোগ চাল ৬০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৫ টাকা এবং নাজির শাইল চাল ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সরকার মোটা চাল ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করার ঘোষণা দেয়ায় গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে মোটা চালের দাম কেজি প্রতি এক থেকে দুই টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা খাজানগর মিল গেটে ছিল ১৮৫০ টাকা বস্তা।
এখন তা বেড়ে গিয়ে ১৯২০ থেকে ১৯৫০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সরকার কর্তৃক ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠনের ডাকে শুরু হওয়া চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়ার খাজানগর থেকে গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাজানগর এলাকার মিল মালিকরা জানান, প্রতিদিন এই মোকাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে দুইশো থেকে আড়াইশো চাল বোঝাই ট্রাক ছেড়ে যায়। কিন্তু পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে চাল বোঝাই ট্রাক আটকে রয়েছে।
এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে সব ধরণের চালের দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান জানান, ধান-চাল সব কিছুর সাথে ডিজেলের একটি যোগসূত্র রয়েছে। কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকাম থেকে ঢাকায় একটি ১৫ টন চাল বোঝাই ট্রাক যেতে এখন ভাড়া লাগছে ১৫ হাজার টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এই ট্রাক ভাড়া আরো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাবে।
যে কারণে চালের দাম অটোমেটিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।