রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
শেখ হাসিনা, জয় ও টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের কর্মসূচি ঘোষণা ১৬ বছরে প্রশাসনের দলবাজ-দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ একগুচ্ছ সুপারিশ বিএনপির জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত কুষ্টিয়ায় থানা লুটের অস্ত্র প্রদর্শন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া সেই সন্ত্রাসী সুজন গ্রেফতার সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধশালী আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে তারুণ্যের ভূমিকা-শেখ সাদী একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কুষ্টিয়া জেলা শাখার কর্মীসভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ  পিপি হলেন ফ্রিডম পার্টির সাবেক নেতা খন্দকার সিরাজ সমালোনার ঝড় কুষ্টিয়ায়।
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

কবি আজিজুর রহমানের ১০৭তম জন্ম বার্ষিকী পালনে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৩৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ৪:৫৬ অপরাহ্ন

কবি আজিজুর রহমানের ১০৭তম জন্ম বার্ষিকী পালনে আলোচনা সভা

অঙ্গীকার ডেস্ক :

“আমাদের দেশ সুন্দর করি আমি গড়ি আর তুমি গড়ো” গানের এই মর্মবাণীর প্রতিপাদ্যে দেশের আধুনিক বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৃৎ একুশে পদক প্রাপ্ত কুষ্টিয়ার গর্ব কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান (জন্ম: অক্টোবর-১৮, ১৯১৪, মৃত্যু: সেপ্টেম্বর-১২, ১৯৭৮) এর ১০৭তম জন্ম বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর বাজার প্রাঙ্গনে কবি সমাধি চত্বরে ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ। এর আগে কবি সমাধিতে পরিষদের উদ্যোগে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমানে সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সেহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, আজিজুর রহমান কবি, গীতিকার, সম্পাদক, নাট্য সংগঠক। কর্ম বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে তিনি তাঁর কালে অতলস্পর্শি, সব্যসাচী। জন্মেছিলেন সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে। দুর্ভাগ্যই ছিলো ফরাসি নাট্যকার জ্যাঁ জেঁনের ঈশ^র। কবি আজিজুর রহমানের ক্ষেত্রে কথাটি চালিয়ে দেয়া যায়। কারণ তিনি ছিলেন জমিদারের ছেলে। অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশে জমিদারদের জীবন জৌলুস এখনো এ অঞ্চলে কিংবদন্তি হয়ে আছে। সেই জীবন তাঁকে মোহাবিষ্ট করতে পারেনি। তাঁর জীবনের আলাদা আবেদন তাঁকে করেছে প্রান্তজনের সখা। সে জন্যেই তিনি গড়ে তুলেছেন নাট্যদল, করেছেন অভিনয়। আমরা দেখি আজিজুর রহমানের কবি পরিচয়কে ছাড়িয়ে গীতিকার পরিচয়টা বড় হয়ে ওঠে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোই তাঁর লেখা। কবি ও গীতিকার যে পরিচয়েই তাঁেক মূল্যায়ণ করি না কেন, তাঁর লেখার মূল উপজীব্য প্রেম,প্রকৃতি ও দেশপ্রেম। বিচ্ছিন্নভাবে তিনি ইসলামী গানও রচনা করেছেন। শিল্পী পরিচয় ছাড়িয়ে একজন মানুষ হিসেবেও ছিলেন শেকড় সন্ধানী। গণমানুষের সাথে তাঁর একটা স্বাস্থ্যবান সম্পর্ক ছিলো।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘চরিতাভিধান” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেছেন। কিন্তু নানা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তাঁর গানের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।আমরা গানের সংখ্যার দিকটি বিবেচনা করবো না। বিবেচনা করবো তাঁর গানের বিষয় বৈচিত্র্য। গীতিকার হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ও সার্থকতার বিষয়টি। বাংলা চলচ্চিত্রের যখন স্বর্ণযুগ, তখন গীতিকার আজিজুর রহমানের গান স্বর্ণযুগের সোনার প্রতিমায় নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। মজার ব্যাপার যে গানগুলো তখনকার দিনে মানুষের মুখে মুখে ফিরতো, সে গানের গীতিকার কে তা অনেকেরই অজানা। উল্লেখযোগ্য গানগুলি মধ্যে- “আমি রূপ নগরের রাজকন্যা রূপের যাদু এনেছি”, “বুঝিনা মন যে দোলে বাঁশির সুরে”, “মন রে এই ভবের নাট্য শালায় মানুষ চেনা দায়”, “তারা ভরা রাতে তোমার কথা যে মনে পড়ে বেদনায়”, “অভিমান করোনা তুমি কিগো বোঝনা”।
এছাড়া পরাধীন মাতৃভূমির স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর গান মুক্তিযোদ্ধা ও এদেশের মানুষের মনে মুক্তির আকাক্সক্ষা জাগিয়ে তুলেছে। তাঁর দেশগান ও সংগ্রামী চেতনার গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- “পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমার এদেশ ভাইরে”, “রক্তে রঙিন উজ্জ্বল দিন বহ্নি শিখায় জ¦লছে”, “দুর্বার ঝড় তুলে গতিবেগে উল্কার”, “ধানে ভরা গানে ভরা আমার এ দেশ ভাইরে”, “মুজিব এনেছে বাংলাদেশের নতুন সূর্যোদয়”।
বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পর ইসলামী সংগীত রচনায় কবি, গীতিকার আজিজুর রহমানেরও অসামান্য অবদান লক্ষ্য করা যায়। তাঁর লেখা ইসলামী গানগুলোর মধ্যে- “কারো মনে তুমি দিওনা আঘাত সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে”, “তোমার নামের তসবী খোদা লুকিয়ে যেনো রাখি”, তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম “ডাইনোসোরের রাজ্যে”, “জীবজন্তুর কথা” “ছুটির দিনে”, “এই দেশ এই মাটি”, “উপলক্ষের গান”সহ বেশকিছু সংখ্যক জনপ্রিয় গ্রন্থ রয়েছে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিস্মৃতপ্রায় এই গুণী ব্যক্তিত্বের ১০৭ তম জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রাক্কালে নিজেদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার ব্যর্থতা অনেক বেশি পীড়াদায়ক। তবুও মন্দের ভালো এই যে, আড়ম্বরে না হলেও মনের কোণে ভাবনার সীমানায় এ গুণী ব্যক্তিত্বকে যৎকিঞ্চিত ধরে রাখতে পেরেছি এটাইবা কম কি ?। রাখবো অনন্ত কাল। আমাদের মাধ্যমে উত্তর প্রজন্ম জানবে তাঁকে এবং তাঁর সৃষ্টি কর্মকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর