বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করে মুসল্লিদের একটি অংশ। মিছিলটি কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড়ে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় মুসল্লিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের আগেই দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশের একটি কেঁচি গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। ওই সময় একজন নিরাপত্তারক্ষী গেটটি বন্ধ করে দেন। এতে নামাজ পড়তে আসা একদল মুসল্লি উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
নামাজ শেষে ওই গেটের তালা ভেঙে বেরিয়ে আসে একদল মুসল্লি। শুরুর দিকে অল্প কিছু মুসল্লিকে দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরপর মুসল্লিরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে মুসল্লিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
সংঘর্ষের কারণে গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় আধা ঘণ্টার মতো গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।
গত বুধবার দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লা শহরের একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জেরে কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ দেশের কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার বিজিবি মোতায়েন করে। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনা তদন্তে করা হয়েছে কমিটি। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা।