শেখ রাসেল সংযোগ সেতু এখন মৃত্যুঝুঁকি,
বাড়ছে দূর্ঘটনা হারাচ্ছে সৌন্দর্য
অঙ্গীকার ডেস্ক :
শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর শুরু দিকে হরিপুরের অংশে টানিং পয়েন্টে খুঁটি গুলো দেখলে বোঝা যায় চলাচলের জন্য কতটা ঝূঁকিপূর্ণ এই স্থানটি ।
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে,বাতির নিচে এই যেন অন্ধকার ঠিক এমনটিই হয়েছে শেখ রাসেল সংযোগ সেতুতে। শেখ রাসেল কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতু এ যেন নানা সমস্যায় জর্জরিত । ল্যামপোস্ট থাকলেও অধিকাংশ লেমপোস্টই অন্ধকার জ্বলছে না বাতি !
হরিপুর অংশে টার্নিং পয়েন্টে এখন দূর্ঘটনার ফাঁদ। প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ বালুবাহী টলি ও অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক, অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া টলি চালানোকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সংযোগ শেখ রাসেল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট ঠিকই থাকলেও, তবে বাতি জ্বলে না প্রায় ৩৩ টি এছাড়া টার্নিং পয়েন্টে ১১টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত বেরিয়ে আছে এলোমেলো ভাবে মাটিতে রয়েছে রড । সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সেতুর অধিকাংশ অংশে । সরজমিনে দেখা যায় হরিপুর অংশে টার্নিং পয়েন্টে কয়েকটি ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও বাতি জ্বলছে না একটিও । অধিকাংশ বাতিগুলো দীর্ঘদিন নষ্ট থাকায় রাতে সেতুতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় সেতুর উপরে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। আর সেতু অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরা। তারা এ সেতুর উপরে ও নিচে বসে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর জন্য গড়াই নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য সেতুটি ব্যবহার করে থাকে। স্থানীয় সূত্র জানায় ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ৫শ‘ চার মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু প্রকল্পটি ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয়ে বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ। সেতু উদ্বোধনের কয়েক দিনের পর থেকে একটি-দুটি করে বাতি নষ্ট হতে থাকে। কয়েক বছরের মধ্যেই সেতু অবহেলায় জর্জরিত পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই আলো , সময়ের ব্যবধানে সেতুর উপর রোড ডিভাইডার বা সংকেত চিহ্ন বিভিন্ন স্থানে গিয়েছে মুছে রক্ষণাবক্ষেণের অভাবে সৌন্দর্য হারাচ্ছে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতু ।
স্থানীয়রা জানান, শেখ রাসেল সেতুর বাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা নামলে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গভীর রাতে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করতে যাওয়া শ্রমিকদের আতঙ্ককের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয় । সেতুর উপর পর্যাপ্ত বাতি না জ্বলায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া সেতুতে বাতি না থাকায় মাঝে মধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর বাতি না জ্বললেও এতে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। স্থানীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলো কতৃপক্ষের দায় সারা সংস্কার করে । কিছু দিন পর দেখা যায় পুনরায় আগের রূপে ফিরে আসে অধিকাংশ স্থানে অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতু ।