বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতা চালাচ্ছে: সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম আমি নেতৃত্ব দিয়েই কুষ্টিয়া থানা ভাঙছি’ এটা আমার আবেগী বক্তব্য -মাজেদ দৌলতপুরের ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার শিক্ষক লাঞ্ছিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষনা বৈষম্য বিরোধীদের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন -মাজেদ কুমারখালি দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৫ রাতের গভীরে শেখ হাসিনাকে হঠাৎ কোথায় সরিয়ে নিল ভারত আইন উপদেষ্টা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না দেশের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার চরম ক্ষোভ ছিল: রিমান্ডে মেনন
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

কুষ্টিয়ায় ফাষ্টফুড ও মিনি চাইনিজের নামে আমরা কি খাচ্ছি?

কুষ্টিয়া অফিস/ নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫৩৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:২৬ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ফাষ্টফুড ও মিনি চাইনিজের নামে আমরা কি খাচ্ছি? হাজী ও নান্না বিরিয়ানির নামে প্রতারণা!

অঙ্গীকার ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ফাষ্টফুড ও মিনি চাইনিজ। এসব ফাষ্টফুডের দোকানগুলোতে এবং মিনি চাইনিজের নামে আমরা কি খাচ্ছি? এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য খাবারের দোকানের সাথে মিলিয়ে রেখে হাজী ও নান্না বিরিয়ানীর খাবারের দোকানের নাম ব্যবহার করে কুষ্টিয়া শহরে চলছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট।

নোংরা স্যাঁতসেতে পরিবেশ, পঁচা বাসী খাবার দিলেও ক্রেতারা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারে না।এসব রেস্টুরেন্টের হেঁসেল কিভাবে চলছে তা দেখার জন্য কোন অনুমতি নেই। যেগুলোতে পরিবেশন করা হচ্ছে নিম্নমানের পচা-বাসি খাবার। না জেনে-বুঝে শহরের অসংখ্য মানুষ তা খাচ্ছেন প্রতিদিন।

দোকান সংশ্লিষ্টদের কথায় অনেকটা স্পষ্ট, এগুলোর সাথে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানের কোন সংযোগ নেই।রাজধানীর নামীদামী হাজীর বিরিয়ানি ও নান্না বিরিয়ানির নামের সাথে মিল রেখে এসন দোকান পরিচালনা করে থাকে।খাবারের মান একেবারেই নেই বললেই চলে।

নামসর্বস্ব নান্নার রান্না দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। অন্যগুলোর অবস্থাও একই। পচা-বাসি কোন খাবারই ফেলে দেয়া হয় না এখানে। আর যে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয় খাবার, তা হঠাৎ দেখায় মনে হতে পারে আবর্জনার ভাগাড়।

হাজীর বিরিয়ানির সাইনবোর্ড লাগিয়ে মানহীন পচা সয়াবিন এবং ডালডা দিয়ে বানানো বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্নস্থানে এসব অবৈধ বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। টেস্টি সল্টসহ স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকারক বেশ কিছু মসল্লা ব্যবহার করে এসব দোকানগুলোতে বিরিয়ানি তৈরি করা হচ্ছে। নিম্নমানের মাংস, তেল চর্বি, আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হয় এসব বিরিয়ানি। একদিনের বিরিয়ানি দুই-তিনদিনও বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। টেস্টি সল্ট ব্যবহারের কারণে তা নষ্ট হয় না। হাজীর বিরিয়ানির নামে লাইটিং সাইনবোর্ড আর মনোরম ডেকোরেশন করে ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিুমানের বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অন্তহীন অভিযোগ থাকলেও এসবের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার নেই প্রশাসনের। বিশেষ করে ভোক্তা অধিকার আইনে এ পর্যন্ত এসব হাজীর বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

শুধু এই হাজী কিংবা নান্না বিরিয়ানীই নয়, শহরের ওলিতে গলিতে নামসর্বস্ব এমন অনেক রেস্তরা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে শহরের চাররাস্তা থেকে ৬ রোস্তা মোড়ের দিকে বেশকিছু মিনি চাইনিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

মাঝে মাঝে বড় বড় হোটেল রেস্তরায় অভিযান চালালেও এসব প্রতিষ্ঠানে কোন অভিযান পরিচালনা হয় না বললেই চলে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন খাবার শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ।এসব দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানায়, আমরা বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্ট ও ফাষ্টফুডের দোকানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর