একুশে পদক প্রাপ্ত কবি আজিজুর রহমানের ৪৩ তম প্রয়াণ দিবস পালনে নেই তেমন কোন আয়োজন।
অঙ্গীকার ডেস্ক :
একুশে পদক প্রাপ্ত কবি আজিজুর রহমানের ৪৩ তম প্রয়ান দিবস পালনে নেই কোন আয়োজন। কবি আজিজুর রহমানের মাজারটির নেই কোন সংস্কার। অব্যাবস্হাপনার ও নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। হাটশ হরিপুরের কৃতি সন্তান কবি আজিজুর রহমান ১৯১৭ সালে ১৮ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৮ সালে বিভিন্ন পএিকাতে তার লেখা কবিতা ও গান পাঠানো শুরু করেন। ১৯৫৪ সালে কবি আজিজুর রহমান বাংলাদেশ বেতারে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গান, গ্রন্থ ও প্রায় ৩০০ টির বেশি কবিতা রয়েছে। কবি আজিজুর রহমান হাটশ হরিপুরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি ১৭৭৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৭৯ সালে কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
আজ ফুল দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান, এম সম্পা মাহমুদ। এ সময় কবির আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন।
এবং প্রয়াণ দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে সিমীত পরিসরে অলোচনা সভা করা হয়।তা ছাড়া একুশে পদক প্রাপ্ত কবি হিসেবে তেমন রকম আয়োজনহীন ভাবেই উদযাপন করা হয় দিনটিকে। এই বিষয়ে প্রয়ান দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি হাসান আলী বলেন – কবি আজিজুর রহমান হরিপুরবাসীর গর্ব। তিনি জনপ্রিয় কবি। আধুনিক বাংলা সাহিত্য ও কবিতার ক্ষেত্রে প্রথম সারির একজন ছিলেন। তাঁর ৪৩তম প্রয়ান দিবসে আমরা কোন রকম আয়োজন করতে পারিনি, তাই আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে হাটশ-হরিপুরের একজন সচেতন নাগরিক মোঃ ওবাইদুর রহমান সুমন বলেন- আজকের এই দিনে ওনার কৃতকর্মের মহিমার আলোক ছটার আলোর দেখা পাইনি। ওনার কবর স্থান সংস্কারে অভাবে জিন্নশিন্ন। হয়নি অনাড়ম্বর কোন অনুষ্ঠান, ৪৩ বছর পরেও তৈরি হয়নি হাটশ-হরিপুরের মাটিতে ওনার কোন স্মৃতি জাদুঘর। রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত এই গুণিজনের ইতিহাস আজ প্রায় অন্ধকারে। এই দ্বায় কার? এই গ্রামে যারা সুশীল সমাজের, ভদ্র সমাজে প্রতিনিধি বলে নিজেকে দাবি করেন, ওনারা কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন? এই গ্রামে অনেক মেধাবী ও সুনামধন্য সাংবাদিক রয়েছেন আশা করি, আপনারা বিষয়টিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সাহায্য করবেন।