দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণা
অঙ্গীকার ডেস্ক :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নে নিতাইল পাড়া ব্রিজ বাজারে মোস্তফা ডেন্টাল কেয়ার। মোঃ গোলাম কবির (মোস্তফা) তিনি ডেন্টিস্ট পদবী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের রোগীদের সেবা নামে প্রতারণা করে আসছে। তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন মানবিক শাখা থেকে। এরপর তিনি ঝিনাইদহে এপেক্স নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডেন্টাল এর উপর ১ বছর মেয়াদী কোর্স করেন বলে জানান। কিন্তু মোহাম্মদ গোলাম কোবির (মোস্তফা) তার পদবীতে লিখেছেন বি,ডি, টি টেকনোলজিস্ট ঢাকা। তিনি তার প্রেসক্রিপশনে যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করেছেন সেটাও ভুল। গোলাম মোস্তফা ২০১৭ সাল থেকে ডেন্টাল চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি তার প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেন এখানে দাঁতের সকল প্রকার কাজ করা হয় কিন্তু দুঃখজনক এইযে তিনি ডেন্টাল এর উপর কোন প্রশিক্ষণ নেন নি। কোন কাগজপত্র দেখাতে তিনি সক্ষম নন। তিনি প্রথমে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাশগ্রাম বাজারে মোস্তফা ডেন্টাল কেয়ার নামে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। এরপর সেখানে ভালো না চললে তিনি স্থান পরিবর্তন করে চলে যান লাহিনী বটতল মোড়ে। সেখানেও ২ মাস তিনি ঠিকঠাক দাঁতের চিকিৎসা দিতে না পারায় সেখান থেকে চলে যান নিতাইল পাড়া ব্রিজ বাজারে। বর্তমানে এখানে তিনি দুই বছর যাবত দাঁতের চিকিৎসা করে আসছেন সাধারণ মানুষের। সাধারণ জনগণ খুব সহজ সরল হাওয়াই তাদের থেকে চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়। মোঃ গোলাম মোস্তফা তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান আমি তো একা নই আমার মত আরো অনেকেই এই কাজ করে আসছে। আমার একটা পা নেই কি করে খাব তাই এই কাজের মাধ্যমেই আমি সংসার চালায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এমনটাই বলছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো বলেন গ্রাম্য মারামারিতে তার পা কেটে যাবে তারপর থেকে তিনি ঢাকা চলে যাই ।তারপর সে এসে ডাক্তারের দোকান দেয় এবং রোগী দেখতে শুরু করে। অথচ তিনি এসেছিলেন মানবিক তার পরে তিনি লেখাপড়া করেননি তাহলে সে কিভাবে ডাক্তার হয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। ডক্টর গোলাম মোস্তফা সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে আমার কাগজপত্র সব আছে। কিন্তু তার কাছে কাগজপত্র চাইলে সে তার সার্টিফিকেট এবং ডক্টর ডেন্টাল এর সার্টিফিকেট কোনটা দেখাতে পারেন না। কিন্তু সে বড় ডাক্তার হিসেবে নিজেকে মনে করে।