মাথায় পাগড়ী পেঁচিয়ে কারাগার থেকে বের হলেন পরীমনি, হাতের তালুতে প্রতিকী চিহৃ
অঙ্গীকার ডেস্ক :
মুক্তি পাওয়ার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে স্বজনরা তাকে বরণ করে নেন।
এ সময় পরীমনির পরনে ছিল সাদা রঙের টিশার্ট, সান গ্লাস এবং মাথায় পাগড়ির মতো করে প্যাঁচানো ছিল সাদা ওড়না।
পরীমনির জামিনের খবর পেয়ে কারাফটকে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। তাদের উদ্দেশে তিনি হাত নাড়েন। দেখা যায় তার হাতে মেহেদি দিয়ে তিনি কিছু একটা লিখেছেন। ফটো সাংবাদিকদের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, তার হাতের তালুতে স্পষ্ট করেই প্রতীকী চিহ্নসহ ইংরেজিতে লেখা হয়েছে একটি বাক্য। বাক্যটিতে কাউকে ‘কু…’ বলে গালি দিয়ে তাকে ভালোবাসতে নিষেধ করেছেন পরী। তবে কার উদ্দেশে এ লেখা তা পরিষ্কার নয়।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জামিন পান পরীমনি। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, মঙ্গলবার পরীমনির জামিন হলেও সঠিক সময়ে জামিনের কাগজ কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। রিমান্ডের সময়সীমা বাদে কাশিমপুর কারাগারে ১৯ দিন ছিলেন বিতর্কিত এই নায়িকা।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে ৪ দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে এ কারাগারে পাঠানো হয়।