হরিপুর ইউনিয়নে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া
অঙ্গীকার ডেস্ক :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এই ইউনিয়নটি শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় অনান্য ইউনিয়নের তুলনায় রাজনৈতিক ভাবে ব্যাপক তাৎপর্য বহন করে।এর পেক্ষিতে রাজনৈতিক দলের জেলার নেতারা এই ইউনিয়নের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ ভাবে পর্যালোচনা করেন।হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথীরা অনেক আগের থেকেই জানান দিচ্ছিল।কিন্তু কোভিড নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে প্রচার -প্রচারণা স্থগিত ছিল।সকলের মাঝে প্রশ্ন ছিল কবে হবে নির্বাচন? কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে বলেন আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর পর থেকে আবারও শুরু হয়েছে গেছে নির্বাচনী প্রচারণা বইতে শুরু হয়েছে নির্বাচনে বাতাস। তাই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন। এই ইউনিয়নে বর্তমানে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সংখ্যা সম্ভাব্য ১০ জন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন-হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম, মিলন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক হাজী আরিফুল ইসলাম,হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুশতাক হোসেন মাসুদ ও প্রবীণ ও আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রশিদ কাশেম হাজী ও হাবিবুর রহমান হাবিব এর নাম শোনা যাচ্ছে এবং বিএনপি সম্ভাব্য সমর্থীত প্রার্থীরা হলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিএনপির অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদ কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শিপন।ও জাসদের একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন-হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি আবু তৈয়ব।
আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে এম সম্পা মাহমুদ বলেন-আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি আমার ইউনিয়নবাসীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।আশা করি আমার ইউনিয়নের জনগণ আমাকে সামনে ভোট দিয়ে পুনরায় সেবা করার সুযোগ দিবেন।
হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না।তিনি আরও বলেন বর্তমানে সরকার নির্বাচন ব্যাবস্হাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন। এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।দল যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাহলে তাহলে নিয়ম রক্ষা জন্য নির্বাচন করব।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পরিবর্তনের অঙ্গীকার সাধারণ মানুষের কাছে তাদের কথা জানার চেষ্টা করেছেন এই ইউনিয়নের একজন সচেতন নাগরিক বলেন-আমাদের ইউনিয়নে এখন বর্তমানে নানা সমস্যা বিদ্যামান রয়েছে সামনে এই সমস্যা গুলোর সমাধান চাই ১.ড্রেনেজ ব্যাবস্হা ২.রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ৩.ইউনিয়নটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করন ৪.কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি স্হাপন।৫.কবি আজিজুর রহমানের মাজার দৃষ্টি নন্দন৬.নদী ভাঙ্গনের স্হয়ী সমাধান৭.ল্যামপোস্ট স্হাপন ৮.সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক,বিধবা,ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান।৯.প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে জনগণের সাথে আলোচনা সভা। ১০.মাদকমুক্ত করা এই সকল দিকে নজর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যে দিবেন আমরা আবশ্যই সেই ব্যাক্তিকে ভোট দিবো।আমরা চাই সামনের নির্বাচন যেন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচন প্রচারণা নিয়ে কোন রকম অপ্রিতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।