১১জন আসামির মধ্যে সাত জন আটক
রিপন হাবিব মেম্বার এর নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও আগ্নেঅস্ত্রের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত ও ৩০ টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি গত সোমবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালুয়া গ্রামে ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন – ওই এলাকার মৃত নুদি শেখের ছেলে
এতে আলী গ্রুপের কমপক্ষ্যে ১৫ জন গুলিবৃদ্ধ হয়ে আহত হয়। এছাড়াও ৩০ টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রায় প্রায় ২৫ টি বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আরো জানা যায়, এঘটনায় আলী সমর্থিত আশরাফুল মঙ্গলবার সকালে থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১৪। পুলিশ খালেক মেম্বর সমর্থিত হাবিল মেম্বরকে গ্রেফতার করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিষয়ে মামলা বাদী আশরাফুল বলেন, আমরা আশু শেখের মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে কাজ করছিলাম। এসময় প্রতিপক্ষের রিপন মন্ডল, আশরাফুল ব্যাপারীসহ ৩০ থেকে ৪০ জন হাবিল মেম্বরের নেতৃত্বে গুলি করতে করতে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। প্রতিপক্ষের হাতে আগ্নে অস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, ঢাল, সরকি, লাঠিসোটা ছিল। এতে আমাদের গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩০ টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষরা। তিনি আরো বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা করেছি।
গত ১৯ শে আগষ্ট অভিযুক্তরা কুষ্টিয়া কোটে জামিন নিতে গেলে ১১ জন অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন নাকচ করে হাজতে প্রেরণ করেন।এই ৭জন হাজতে প্রেরণকৃতদের মধ্যে ভয়ংকর বিষু ,মুরাদ, রিমান্ডে থাকা হাবিল মেম্বরদের আত্নীয় স্বজনরা বাদী পক্ষ ভয়ভীতি দিতেছে।তারা বলছে কোট থেকে জামিন নিয়ে তোমার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিবি।তাই বাদী পক্ষকে ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন রাত জাপন করছে।এই অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি সঠিক তদন্ত করে এবং অগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হক।এই ১১জন এর মধ্যে ৭জনকে জামিন নাকচ করে দেই তারা হলেন ১। মোঃ আশরাফুল বেপারী (৩৬) ২। মুরাদ শেখ (৩৪)৩। ভয়ংকার বিষু (৩৬)৪। হাবিল মেম্বার (৪০)৫ । রাসেল শেখ (৩৬)৬। আল-আমিন শেখ (৩৪) । গ্রামবাসী আরও বলেন এই সাতজন হচ্ছে সবথেকে ভয়ঙ্কর যায় গ্রামের সব অপকর্ম এবং মানুষকে হয়রানি মুখে রাখে। গ্রামবাসী বলেন এদের ভয়ে আমরা রাতে ঘরে ঘুমাতে পারি না।কখন যেনো আসে বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় সব সময় এই ভয়ের মধ্যে থাকি। তারা বলেন আমরা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি তারা যেন আমাদেরকে তাদের হেফাজতে রাখে। আমাদের জানমালের রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।একই সাথে গ্রামবাসী বলেন যাদেরকে এখন ও আইনের আওতায় আনা হয় নাই তাদেরকে দূরত্ব আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। সেইসাথে তাদের শাস্তির দাবি করছি।