বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে থানায় অভিযোগ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুল ইসলামের নামে জমি আত্মসাতের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খান নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি মােঃ আব্দুল কুদ্স খান (৬০),
পিতা- মৃত নকিব উদ্দিন খান, সাং- দোস্তপাড়া, কবুরহাট পার হয়ে, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া। এই মর্মে
আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযােগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। মােঃ মফিজুল ইসলাম (৫০), বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক, পিতা- মৃত হাজী নুরুল ইসলাম, সাং-দোস্তপাড়া, কবুরহাট পার হয়ে, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া ২। মােঃ নাজিম উদ্দিন ফকির (৬০) পিতা- মৃত আফসার আলী ফকির, সাং-দোস্তপাড়া, কবুরহাট পার হয়ে, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া নামক ব্যক্তি উক্ত এলাকায় বহু লােকের টাকা ঋনী থাকায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে নাজিম উদ্দিন ফকির এর ৪৮.৬০ শতক জমি স্থান: কবুরহাট দোস্তপাড়া, কুষ্টিয়া। উক্ত বিবাদীর নামে রেজিঃ দলিল করা হয় এবং শর্ত থাকে যে, জমি বিক্রয় করে সমুদয় দেনাদারদের টাকা বুঝিয়ে দিবেন। অত:পর উক্ত বিবাদীজমি বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠান দোস্তপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এর নামে কোর্ট রেজিঃ বায়না করে কিন্তু দলিল দেয় না। অতঃপর বার বার উক্ত বিবাদীকে দলিল দেওয়ার কথা জানালেও
বিবাদী আজ নয় কাল এভাবে ঘুরাতে থাকে কিন্তু রেজিঃ দলিল দেয় না। অন্য দিকে দেনাদারগন টাকা
নেওয়ার জন্য বার বার চাপ প্রয়ােগ করলে বিবাদী দলিল না দেওয়ায় ঋনী টাকা পরিশােধ করা সম্ভব
হইতেছে না। তাই আমার আশংকা উক্ত বিবাদী জমি আত্নসাথ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মফিজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি শুনেছি এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য থানা থেকে একজন অফিসার আমার কাছে এসেছিল। ঘটনার বিস্তারিত আমি তাকে বলে দিয়েছি এবং এর সত্যতা যাচাইয়ে এলাকাবাসী থেকে তথ্য গ্রহণ করার জন্য বলেছি। অভিযোগকারী মাদ্রাসা কমিটির কেউ নন। তিনি আমার বিরুদ্ধে কিভাবে অভিযোগ করলেন সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। মাদ্রাসা কমিটি যখন পাওনা টাকাগুলো দিয়ে দেবে তখনই আমি তাদের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবো। তারা টাকা দিচ্ছে না বলেই জমি রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।