কুষ্টিয়ায় ছেঁউরিয়ায় লালনের সৃষ্টি সবাইকে টানে। যেমনি টেনেছিল রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথের অনেক গানেই বাউল সুর নেওয়া হয়েছে। শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, আধুনিক কবি-সাহিত্যিকদের অনেককেই মোহিত করেছিল লালন সঙ্গীত।
মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারের মূল গেট। সেটার অবসান ঘটে সাড়ে ৫ মাস পর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার এর মূল গেট খুলে দেয়া হয়। লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটির সদস্য সেলিম হক লালনের মূল গেটের তালা খুলে দেন। এসময় লালন একাডেমির লালন ভক্ত অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ায় লালনের মাজার বিনোদন স্পট হাওয়াই এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আসেন। মাজারের পথটা অনেক সুন্দর। পথের দুই পাশে বাদ্যযন্ত্রের স্থায়ী দোকান। দোকানগুলোতে সাজানো আছে নানা ধরনের বাদ্য যন্ত্র। বেশির ভাগ দোকানেই একতারা, দোতারা, বাঁশি, লালনের স্ট্যাচু, শো-পিস আর আর সব নাম না জানা বাদ্যযন্ত্র। সবই দেশিও ঐতিহ্যাবাহী যন্ত্র।
মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারের মূল গেট। সেটার অবসান ঘটে সাড়ে ৫ মাস পর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার এর মূল গেট খুলে দেয়া হয়।লালন একাডেমির এ্যাডব কমিটির সদস্য সেলিম হক লালনের মূল গেটের তালা খুলে দেন। এসময় লালন একাডেমির লালন ভক্ত অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।কুষ্টিয়ায় লালনের মাজার বিনোদন স্পট হাওয়াই এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আসেন। মাজারের পথটা অনেক সুন্দর। পথের দুই পাশে বাদ্যযন্ত্রের স্থায়ী দোকান। দোকানগুলোতে সাজানো আছে নানা ধরনের বাদ্য যন্ত্র। বেশির ভাগ দোকানেই একতারা, দোতারা, বাঁশি, লালনের স্ট্যাচু, শো-পিস আর আর সব নাম না জানা বাদ্যযন্ত্র। সবই দেশিও ঐতিহ্যাবাহী যন্ত্র।
আছে কিছু খাবারের দোকানও। এরপর আছে আরেকটি গেট। এটি মাজারের মূল গেট। মূল গেটের ভেতরে ঢুকে অল্প একটু এগুলেই মূল মাজার ভবন। এর ভেতর লালন সমাধী।
লালন সমাধীর পাশে তার পালক মাতার কবর। বাইরে রয়েছে লালন সাইর পালক পিতা মওলানা মলম শাহ ও অন্য শিষ্যদের সমাধী।
মাজারের পর লালন কমপ্লেক্সথর ভবন। এখানে রয়েছে পাঠাগার, রিসোর্স সেন্টার আর অডিটোরিয়াম। বামদিকে নীচতলায় লালন যাদুঘর। ৫ টাকার টিকিট নিয়ে যাদুঘরে ঢোকা যায়। লালনের ব্যবহৃত অনেক কিছু রয়েছে সেখানে। রয়েছে তার একতারাও।অডিটোরিয়ামের নিচে হারমোনিয়াম, তবলা, দোতারা নিয়ে দলে দলে সাধুরা গান গাইছেন। দেশ-বিদেশ থেকে আগত হাজারো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয়ে থাকে লালন আখড়া।
আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় আশ্রয় লাভ করেন। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার ভোর পাঁচটার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলা ১২৯৭ সাল। মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই আখড়া গড়ে ওঠে। ১৯৬৩ সালে সেখানে তার বর্তমান মাজারটি নির্মাণ করা হয় এবং তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান। ২০০৪ সালে সেখানেই আধুনিক মানের অডিটোরিয়ামসহ একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়। ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠেন। এই মরমী লোককবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোক সংগীত রচনা করেছেন। বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভাবুকদেরও কৌতুহলের উদ্রেক করেছে। লালন নেই, আছে তার স্মৃতিচিহ্ন। কিন্তু লালন কি আসলেই নেই? এই জগতে না থাকুক, লালন আছে সবার হৃদয়ে, সব বাঙালির মানসপটে। যিনি স্বীয় গুণেই আজ সবার স্মরণীয়। জাতপাতে তোয়াক্কা না করে সব জাতের মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছেন ফকির লালন শাহ।