আমলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে চলছে নোংরা ষড়যন্ত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউপি চেয়ারম্যান ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুঁনি চক্রের শুরু হয়েছে নোংরা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়?
বিগত ৫ বছর ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে করোনাকালীন সময়ের জন্য অতিরিক্ত সময় পার করছেন তিনি। আমলা ইউনিয়নকে চরম মমতায় আকড়ে রেখেছেন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা। একজন মানুষকেও তিনি কখনও অনাহারে, অভুক্ত রাখেননি। অসহায় দুঃস্থদেন তালিকা করে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী।
এক সময়ের জাসদ গণবাহিনী ও জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত আমলা এলাকায় নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। চেয়ারম্যানের পিতা ৬০’র দশক থেকে রাস্তার পাশে ৩ বিঘা মুল্যবান জমির উপর গৃহহীন মানুষের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন। যা তার পুত্র চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা পিতার অবর্তমানে তাদের দেখভাল করে থাকেন। এমন একজন মানবিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছে।
আমলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাসমত আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিদ্দিক আলী ও সিদ্দিক আলীর ছেলে জ্যাকি ২০১৭ সালের ১৯ জুন দিনে দুপুরে আমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহার আলীর ছেলে শাহিন কে দোকান থেকে বের করে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। উক্ত দুই মেম্বার ও জ্যাকি ঐ হত্যা মামলার আসামি এবং মামলার বাদী চেয়ারম্যান আনোয়ারুল মালিথা। সংঘবদ্ধ খুঁনিচক্র ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিরুদ্ধে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জননন্দিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামী দুই মেম্বর অস্ত্র হাতে অন্যান্য মেম্বরদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে শাহীনের মত হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে অনাস্থার পাঁয়তারা করছে।
এই নোংরা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে আমলা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। ষাটোর্ধ্ব কলিম উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যানের কিছু হলে আমরা ছাড়বো না। দরকার হলে এর প্রতিবাদে ঝাঁটা মিছিল করবো। ঐ খুঁনি দুই মেম্বরের বিচার চাই। কপালে ভাঁজ পড়া আশি বছরের বৃদ্ধা গোলেজান অভিশাপ দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের খাদ্য, কাপড়, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে। আমার ভাঙা চালায় এসে খোঁজ নেয়। এই চেয়ারম্যান কে নিয়ে যারা মিথ্যা বলছে আল্লাহ্ তুমি তাদের বিচার এই দুনিয়ায় দেখিয়ে দিও।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তারা অভিযোগ করেছে, ইউনিয়ন পরিষদের সভা হয়নি, মেমম্বররা ভাতা পায়নি, কাবিটার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমলা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত সভা হয়েছে। মেম্বররা ভাতার চেয়েও অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে আমার কাছে তার প্রমাণ আছে। এছাড়াও এক মেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের দোকান পাটের নিয়মিত তার রশিদ দিয়ে ভাড়া উত্তোলন করে থাকে। দুই লক্ষ টাকার বেশী। তার হিসেব দেয়না পরিষদে।
আর কাবিটার কাজ ছিলো মাটির। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি তৃনমুলে উজ্জ্বল করতে মাটির পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ম্যাকাডম করেছি। যার ছবি ও হিসেব আছে। আল্লাহ আমাদের পৈত্রিক ভাবে অনেক স্বচ্ছল ও ভাল রেখেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের টাকা আত্মসাৎ তো দূরের কথা সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে কালভার্ট, রাস্তাসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।