” স্বপ্নের সেতু “
মুশারফ….✍
——————–
স্বপ্নের এই সেতুটি মোদের
করেছে স্বপ্ন পূরণ,
মনে হয় যেন,নতুন জীবন
করেছে মোদের বরণ।
ইচ্ছে হলেই যখন-তখন
এপার-ওপার যাই,
খুব সহজেই,সব কিছুই আজ
খুব সহজেই পাই।
সেতুরটির মাঝে দাঁড়িয়ে যখন
ভাবি দু হাত ছেড়ে,
নদীর নিচে তাকিয়ে তখন
অনেক স্মৃতি মনে পড়ে।
সেদিনের সেই ছোট্ট বেলা
এখনো মনে পরে,
সারাটি পথ যেতাম হেঁটে
হাফিয়ে বেয়ে শহরে।
চৈত্র খরার মাসে যখন
শুকিয়ে যেত নদী,
গরম বালি দিতে পাড়ি
সবাই যেন যেত কাঁদি।
ক্লান্ত হয়ে কতজনে সেদিন
ভিজিয়ে ঘামের জলে,
একটু প্রশান্তি পেয়েছে প্রাতে
পুরনো বটের তলে।
এপার হতে ওপার পথে
চাহিতো না আর মন,
বৃদ্ধা বয়সের মানুষ গুলোর
চলিতে চাহিতো না চরণ।
একটু খানি বৃষ্টি হলেই
পাড়ি যেত গড়ে
পা পিচ্ছিলে কত যে মানুষ
অমনি যেত পড়ে।
হঠাৎ কোনো রোগে যদি
কেউ হতো রোগী,
রোগীকে পার করিতে আরও
কয়েকজনে যেত ভুগী।
বর্ষাকালে পালের নাও
ভাটিতে যেত হেরে,
ইঞ্জিন ট্রলার মাতাল হয়ে
সাহস নিতো কেড়ে।
সন্ধা হলেই সেতুটি মোদের
ল্যামপোষ্টের আলোয়,
দূর থেকে ঐ পানির মাঝে
করে যেন ঝলময়।
খুশিতে প্রাণ জুড়িয়ে যায়
যখনই মনে হয়,
নাও পাড়ি দিতে না হয় আর
কত যে ছিল নাওয়ে ভয়।
ছিল না যখন সেতু,কত শিশু ছিল ভিতু।
বালির চর পাড়ি দিতে অনেক হয়েছে বৃদ্ধার মৃত্যু।
স্বপ্নের সেতুর জন্য যারা
করেছিল স্বপ্ন লালন,
ইঞ্জিনিয়ার টুটুল-হাসান ভাই সহ
আরও ছিল অনেকজন।
সোনার ছেলে তারা-ই সেদিন
হয় না তাদের তুলনা,
হরিপুরবাসী মোরা তোমাদের কোনদিন-ই ভুলবো না!!