কুষ্টিয়ায় দোকানপাট বন্ধে, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। শহরের প্রাণকেন্দ্র এনএস রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সংস্থাগুলো থেকে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল চলছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত টহল দিচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অল্প সংখ্যক বিকশা, অটোরিকশা চলাচল করছে। সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নিয়ম না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কিছু অংশ খোলা রেখে গোপনে মিষ্টি বিক্রির দায়ে এনএস রোডের লিয়াকত ডেইরী এন্ড সুইটস , জগদীশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও অশোক দধি ভান্ডারকে জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও রাস্তায় অল্প সংখ্যক যানবাহন থাকায় জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণস্থানগুলো রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। চেকপোস্টগুলোতে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মানুষদের আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা একান্ত জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন, তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বেরিয়েছে- এমনটি প্রমাণ করতে পারছেন নাম তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি থেকে যৌথ টহল করা হয়। মজমপুর থেকে যৌথ টহল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। কুষ্টিয়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে কঠোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। উপজেলাগুলোতে ওষুধের দোকান ব্যতিত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান দুপুর পর্যন্ত ছাড়া সব ধরণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সপ্তাহের শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দোকান খোলা থাকবে। এজন্য আমরা বেশ কয়েক দফায় মিটিং করেছি মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেতৃত্বে জামান আদালত অভিযান চালানো হয়। এতে করে জেলায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা যেহেতু বন্ধ, সেহেতু সবাই যেন লকডাউন শতভাগ মেনে চলেন। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকে বাড়িতে এসেছেন। তারা যেন স্বজনের বাড়িতে কম যান, বাড়ি থেকে অযথা বের না হন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে লকডাউন বাস্তবায়নের।