কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক এর ওপর স্থানীয় দূর্বৃত্তদের নৃশংস হামলা ও মারধরের অভিযোগে ১১জন নামধারী সন্ত্রাসী সহ আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক এর বড় ভাই প্রকৌশলী এম. সুমন সানজিদ নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৩৯।মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক এর বড় ভাই প্রকৌশলী এম. সুমন সানজিদ (৩২), পিতা- কামরুজ্জামান (এনআইডি-১৯১৬৫১৯৮৭৭), আব্দুল মোহাম্মদ লেন, কোটপাড়া থানা ও জেলা কুষ্টিয়া নিজে বাদী হয়ে- আসামি ১। তুহিন (৩০) পিতা- মাহি, সাং- কুটিপাড়া, ২। জয়নাল আবেদিন (২৮) পিতা- আয়নাল, সাং- দহকোলা, ৩। রকি (২৬) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- থানাপাড়া, ৪। এজাজ মাহমুদ অনি (২৫) পিতা- সিদ্দিক, সাং- থানাপাড়া, ৫। উৎসব (২৫) পিতা- হাবিব, সাং- থানাপাড়া, ৬। অনন্ত (২৫) পিতা- মাসুদ, সাং- থানাপাড়া, ৭। ডলার (৩০) পিতা- বাদল, সাং- থানাপাড়া, ৮। গোলাম রাব্বানী রাব্বি (২৫) পিতা- ডাকলু, সাং- আমলাপাড়া, ৯। ফারদিন (২০) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- আড়ুয়াপাড়া, ১০। তূর্য (২৫) পিতা- খাজা, সাং- মিলপাড়া, ১১। আসলাম (৩০) পিতা- সোনা, সাং- কুটিপাড়া থানা ও জেলা কুষ্টিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে গত ২১/০৭/২০২১ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৯:১০ ঘটিকার সময় আমার ছোট ভাই মোঃ আতিকুর রহমান অনিক (২৫), পিতা- মোঃ আমিনুর রহমান ঝন্টু, সাং- কোটপাড়া, থানা ও জেলা কুষ্টিয়া, সভাপতি- কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহিত আসামি রকি এর একতারা মোড়ে মোটরসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অনিক তার বাড়িতে ফেরার পথে ২১/০৭/২০২১ তারিখ রাত অনুমান ১০:১৫ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া আমিন মোড় সংলগ্ন ওমর টাওয়ারের সামনে গলির মুখে পৌঁছালে আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, কাঠের বাটাম, লোহার রড, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে গতিরোধ করে আমার ভাইকে খুন করার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। আসামি তুহিন তার হাতে থাকা চাইনিজ কুঁড়াল দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করে স্বজোরে কোপ দিলে মাথার মাঝখানে লাগিয়া রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হয়। তখন প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে রক্ষা করতে গেলে আসামি রকির হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। অন্যান্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমার ভাইকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। আমার ভাই এর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন সাক্ষী ১। রক্তিম ঘোষ (২১) পিতা- রাজ কুমার ঘোষ, সাং- আমলাপাড়া, ২। রিফাত (২৩) পিতা- দাউদ আলী মন্ডল, সাং- দহকোলা, ৩। একলাছ (২৫) পিতা- রবিউল ইসলাম, সাং- মঙ্গলবাড়িয়া, ৪। আলামিন শান্ত (২১) পিতা- রাজু আহমেদ, সাং- আমলাপাড়া সর্ব থানা ও জেলা-কুষ্টিয়াগণ এগিয়ে গেলে আসামি রকির হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। এরপর সাক্ষীরা আমার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কুষ্টিয়ায় ভর্তি করে আমার ভাইয়ের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হইল।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছাব্বিরুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।