কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুরের সময় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি পদদলিত করেছে হামলাকারীরা। শুক্রবার রাতে কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার বারাদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অফিস ভাংচুরের সময় বাধা দিতে গেলে মিনারুল নামের একজনকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এবং পাল্টা হামলায় ৭ টি বাড়ি ভাংচুর করেছে মিনারুল গ্রুপের লোকজন।
আহত মিনারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ঘোড়াই ঘাট এলাকায় সংসদ সদস্য প্রদত্ত মাস্ক জনগনের মাঝে বিতরনের সময় কিরামের ছেলে মাসুদের গায়ে সাহাদাবের ছেলে সাব্বির বাইক বাধিয়ে দিলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপনের বাড়িতে বৈঠক হয়। এবং রাত ৮টার দিকে সাব্বিরের আত্মীয় স্বজন ডাগু নামক ব্যক্তির নেতৃত্বে দুলাল, কালু, আনারুল, জুয়েল ও কটা তারেক সহ ২০/২৫ জন বানিয়াপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিসে হামলা করে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি পদদলিত ও ভাংচুর করে। এসময় তিনি বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা করে। বর্তমানে তিনি কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরো জানান ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপনের নির্দেশে অফিস ভাংচুর ও তার উপর হামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলেন, কয়া ইউনিয়নের বাড়াদীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আরজু ও মিনারুলের নেতৃত্বে বাড়ী-ঘর, দোকান, মটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এবং অফিস ভাংচুর তারা নিজেরাই করেছে। ভাংচুরের সময় যেকোনভাবে মিনারুল আহত হতে পারে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিস ও বাড়ি ভাংচুর করেছে উভয়পক্ষ। দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।