লকডাউনে বেলা ১ টার পরেও দোকান খোলা। পুলিশ সুপার (এসপি) সেজে দোকানীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়কালে পাবলিকের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেল ভূয়া এসপি। তবে পালানোর সময় ভুয়া এসপির বডিগার্ডকে আটক করেছে জনগণ। পরে বডিগার্ডকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে জনতা।(৫ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলংগী ক্লিকমোড় এলাকায় এই প্রতারনার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার বিকেলে ৩ টার দিকে এলংগী ক্লিকমোড় এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাত দুইজন আসে। প্রথমে মুদি দোকানী রিয়াজ মুন্সীর দোকানে যায়। সেখানে কথিত বডিগার্ড বলেন, এসপি স্যার আসছে। এখনও দোকান খোলা। ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেন। টাকা না দেওয়ায় কিলঘুষি শুরু করে। পরে এক হাজার টাকা দিয়ে মাপ পান রিয়াজ মুন্সী।
এরপর তারা রিয়াজের পাশের মাছের ব্যবসায়ী শাজাহান (৪৭) এর কাছে গিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মাছ বিক্রেতা ৫০০ টাকা দেন। তারপর ক্লিকমোড় থেকে হাফ কিলোমিটার দুরের আসাদুল স্টোরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।
একপর্যায়ে পূর্বের দোকানীরা লোকজন নিয়ে ধাওয়া করে। এসময় ভূয়া এসপি লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে জনগণের হাতে আটকা পড়েন বডিগার্ড। পরে বডিগার্ড কে পুলিশের হাতে সোপার্দ করেন জনগণ।
এবিষয়ে প্রতারণার শিকার এলংগী ক্লিকমোড় এলাকার কাদের মুন্সীর মুদি দোকানী ছেলে রিয়াজ মুন্সী বলেন, দুইজন লোক মোটরসাইকেল থেকে নেমে দোকান খোলা রাখায় বকাবকি করছিল। পরে একজন ধমক দিয়ে বলেন, এটা আমাদের এসপি স্যার। ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেন। টাকা দিতে না পারায় জামার কলাট পেরে ধরে মারধর শুরু করে। পরে এক হাজার টাকা দিয়ে মাপ পাই।
একই এলাকার চাদটের মাছ ব্যবসায়ী ছেলে শাজাহান বলেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ৫০০ টাকা দিয়ে মাপ চেয়ে নিছি।আসাদুল স্টোরের খুশিদুল বলেন, দুইজন মোটরসাইকেল থেকে এসপি পরিচয় দিয়ে বকাবকি করছিল। এসময় তাদের মুখ দিয়ে মদের গন্ধঁ বের হচ্ছিল। আমার সন্দেহ হচ্ছিল। হঠাৎ অনেক লোকজন চলে আসলে এসপি সাহেব পালিয়ে যান। তবে বডিগার্ড কে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।এবিষয়ে ভূয়া এসপির বডিগার্ড রবীন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। সাহায্যের জন্য টাকা তুলছিলাম।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, একজন আটক আছে। এবিষয়ে থানায় মামলা হবে