‘আজকে যে রাজাধিরাজ, কাল সে ভিক্ষা চায়!’
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত এই লাইনটা ফ্রান্স জাতীয় দলের সঙ্গে বেশ ভালোই যায়। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, যাদের এবারের ইউরোর সবচেয়ে বড় ফেবারিট মানা হচ্ছিল, তারাই দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়ে নিল। আর সেটাও নিশ্চিত হয়েছে তর্কাতীতভাবে দলের সবচেয়ে বড় তারকার পেনাল্টি মিসের মাধ্যমে
কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাই বলা হচ্ছে। অতিরিক্ত সময়ের পর ৩-৩ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটা মীমাংসা করার জন্য নেওয়া হলো পেনাল্টি শুটআউটে। সুইজারল্যান্ডের পাঁচজন আর ফ্রান্সের চারজন তাতে ঠিকঠাক গোলও করলেন। কিন্তু ভাগ্য বাধ সাধল এমবাপ্পের ক্ষেত্রেই। বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের গোলকিপার ইয়ান সোমের আটকে দিলেন এমবাপ্পের শট। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেল, শিরোপা জেতা তো দূর, কোয়ার্টারেই ওঠা হচ্ছে না ফ্রান্সের। নতমুখে বিদায় নিয়েছেন দেশমের শিষ্যরা।
ব্যাপারটা বেশ পোড়াচ্ছে এমবাপ্পেকে। হতাশা ঝরে পড়েছে তাঁর কণ্ঠ থেকে, ‘পেনাল্টি মিস করার জন্য আমি দুঃখিত। আমি দলকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। এই অবস্থায় চিন্তাহীন থাকাটা কঠিন, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা খেলার একটা বাজে দিক। ভক্তরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক হতাশ হবেন, আমিও হতাশ।‘
তবে যতই হতাশ হন না কেন, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি পিএসজির এই ফরোয়ার্ড, ‘কিন্তু আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।‘
বাজে সময়ে কোচ দিদিয়ের দেশমের সমর্থনও পাচ্ছেন এমবাপ্পে। কোচ জানিয়েছেন, এমবাপ্পের ওপরে কেউই রুষ্ট নন, ‘ওর ওপর কেউই বিরক্ত নয়। আপনি যখন দায়িত্ব নিয়ে কোনো একটা কাজ করতে যাবেন, এমনটা হতেই পারে। গোটা ব্যাপারটা ওর ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।‘