রসালো ফল আমের মজার স্বাদ পেতে সব বয়সীদের ইচ্ছে করে। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সব থেকে বেদনার বিষয় হল খাবারে বিধিনিষেধ। সুগারে আক্রান্ত হওয়ার পরেই একর পর এক জিভে জলআনা খাবার খাদ্যতালিকা বাদ দিতে হয়। এই বাদের তালিকায় আছে আমও। আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড অনেকটাই বেশি। তাই আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীকে এই ফল থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। তাহলে কী ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাবে না? এমন প্রশ্নের উত্তর কি জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাদিনে গৃহীত ক্যালরির উপর সতর্ক নজর রাখতে হয়। রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা ও তার কাজের ধরণ দেখে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পুষ্টিবিদ রোগীর ক্যালরির চাহিদা নির্দিষ্ট করেন। সেই ক্যালরি চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করতে হয় ডায়েট প্ল্যান।কোনো ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট প্ল্যানে কোনো একটি সময়ে আম রাখা হলে তখনকার খাবারের তালিকা থেকে সমপরিমাণ কার্বোহাইড্রেট বাদ দিতে হবে। এই উপায়েই ব্যালেন্স করতে হবে খাবারে। যদি ডায়াবেটিস রোগী সকালে একফালি আম খাবেন বলে মনস্থির করেন তাহলে তাকে অন্তত একটা রুটি কম খেতে হবে।
দুুপুরে বা রাতের খাবারের সঙ্গে আম না খাওয়াই ভালো। বরং সকালের ব্রেকফাস্টে এক টুকরো আম রাখা যেতে পারে। প্রাতঃরাশে আম খেতে হলে ডায়েটের যোগ করতে হবে হাই ফাইবার ফুড। এক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় সবজি রাখতে হবে, তবে তা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো হওয়াই ভালো।এখন আম সস্তা বলে বা আম খেতে ভালো লাগে বলে কেবল আমের দিকে মনোযোগ দিলেই চলবে না। সঙ্গে অন্যান্য মৌসুমী ফলও খেতে হবে। তবে মিলবে পুষ্টি। আর অবশ্যই আম খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চললেই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: মো: হাসান আলী
প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ ওবাইদুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: খালিদ সাইফুল
নির্বাহী সম্পাদক: রাশিদুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: মিজানুর রহমান
বার্তা সম্পাদক: আব্দুল কাদের
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: লাল মোহাম্মদ সড়ক, হাটশ হরিপুর নদীরকুল, কুষ্টিয়া-৭০০০।
মোবাইল : ০১৮১৫-৭১৭০৩৪ । ইমেইল : khalidsyful@gmail.com ।
ই-পেপার কপি