অঙ্গীকার ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেলায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট মিলছে কুষ্টিয়ার করোনা রোগীদের শরীরে।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সংকট মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। তাই কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন প্রথম ধাপে ৭ দিন এবং ২য় ধাপে জেলা জুড়ে কঠোর লকঠাউনের ঘোষণা দিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার হচ্ছে।
কিন্তু থেমে নেই বিভিন্ন এনজিও কর্মীদের কিস্তি আদায়।তারা দাপট নিয়ে চলছে কিস্তি আদায়।এই কিস্তির টাকা অনেকেই না দিতে পারার কারণে নানা রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলার সাথে কথা হয় পরিবর্তনের অঙ্গীকারের সাথে তিনি জানান,আমার স্বামী অটো চালায় এই লকডাউনের কারণে অটো চালাতে পারছে না। কিন্তু সপ্তাহ শেষে আমার ৮৫০ টাকা কিস্তি। আমরা দিন এনে দিন খায়। আমার ঘরে খাবার কেনার টাকা ও নেই কিন্তু আমার দুই দিন পরেই কিস্তি। আমি এবং আমার পরিবার এখন করোনার থেকে কিস্তিকেই বেশি ভয় করছি, দয়া করে আপনারা আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমানে যেখানে মানুষ অর্থ সংকটের কারনে দুই বেলা খাবার জোটানো সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে আবার কিস্তির চিন্তায় ভুগছে লক্ষ পরিবার।
তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে অবশ্যই কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশনার দিকে চেয়ে আছে হাজার হাজার পরিবার।