কুষ্টিয়ার ঘোড়ারঘাট শহরের সাথে ওপাড়ের প্রায় ১০টি গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ঘাট। যেখান দিয়ে প্রতিদিন শহরে আসে প্রায় হাজার দশেক মানুষ। এদের পারাপারের একমাত্র বাহন নৌকা। কিন্তু এই পারাপারে ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে সামাজিক দুরত্বের সাধারন বিধি। হয় কেউ মানছে না অথবা মানা সম্ভব হচ্ছে না।শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। আগেও যেভাবে পারাপার ঘটত এখনও সেরকই ঘটছে।
প্রতিদিন ভোর ৫ টা থেকে শুরু হয় নৌ পারাপার। চলে রাত অব্দি। কুমারখালির উপজেলার কয়া, গোট্টিয়া, শিলাইদহ, বানিয়াপাড়া, কালুয়া সহ আরো বিভিন্ন গ্রামের মানুষ প্রতিদিন শহরের আশা যাওয়া করছে। এদের পারাপারের জন্য রয়েছে কয়েকটি মেশিন চালিত নৌকা। ঐসব গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ এপাড়ে শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। কিন্তু এখন কুষ্টিয়াতে কঠোর বিধিনিষেধ চললেই নেই কোন পরিবর্তন। আগের মতো একি রকম ভাবে চলছে পারাপার। একটি নৌকার চালক নূর ইসলাম জানান তিনি সঠিকভাবেই অবগত আছেন বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরুত্বের বিধির বিষয়টি। কিন্তু তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।নূর ইসলাম জানান প্রথম কয়েকদিন ঘাট কতৃপক্ষ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে জনগনই মানেনি বিষয়টি। বরং নিয়ম মানাতে গিয়ে তাকে গালি খেতে হয়েছে জনগনের কাছে।“সবারই খুব তাড়া, জীবনের মুল্যের চেয়ে পার হওয়াটাই যেন সবার কাছে বেশী জরুরী,” মাঝিটি জানান।
এ প্রতিবেদক ঘাটে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ট্রিপ লক্ষ্য করেন। দেখতে পান এক একটি বার প্রায় শ’য়ের কাছাকাছি মানুষ পার হয়ে কুষ্টিয়া অভিমুখে আসছে। নৌকার সাইজ অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব মেনে চললে সেখানে থাকতে পারে বড়জোড় ২০ থেকে বাইশ জন।গাদাগাদি করে একে অপরের গায়ে। এবিষয়ে নৌকার যাত্রী ওপাড়ে কয়া গ্রামের মাহবুবার রহমান জানান তিনি একটি ট্রিপে পার হয়ে এলেন।তিনি বিষয়টির ভয়াবহতা জানেন বলে জানালেন।তিনি বলেন সবাই জানে এটা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু কেউই নিয়মটি মানছে না।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: মো: হাসান আলী
প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ ওবাইদুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: খালিদ সাইফুল
নির্বাহী সম্পাদক: রাশিদুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: মিজানুর রহমান
বার্তা সম্পাদক: আব্দুল কাদের
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: লাল মোহাম্মদ সড়ক, হাটশ হরিপুর নদীরকুল, কুষ্টিয়া-৭০০০।
মোবাইল : ০১৮১৫-৭১৭০৩৪ । ইমেইল : khalidsyful@gmail.com ।
ই-পেপার কপি