কুষ্টিয়ায় উর্ধমুখী সংক্রমন ও মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে অবশেষে জেলাজুড়ে ৭দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষনা দেয়া হয়েছে। এসময় জেলা প্রশাসনের দৈনন্দিন করোনা রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ২৫৬টি নমুনা পরিক্ষা করে ৮৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধী ৭জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়; তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮১ জন রোগীর মধ্যে ১০জন করোনা রোগী মৃত্যু বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন আবাসিক চিকিৎসক ডা: তাপস কুমার সরকার। ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপ সামলাতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্ট এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি বলেও জানালেন এই আবাসিক চিকিৎক।
জেলায় করোনা সংক্রমন রোধে নেয়া নানামুখী উদ্যোগ থাকরেও তার সবই ভেস্তে গেছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য বিধি লংঘন করে অবাধ চলাফেরা, সামাজিক দুরত্ব বজায় না থাকার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত থাকায় হু হু করে বেড়ে চলেছে সংক্রমন এবং মৃত্যুর মিছিল।কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, উর্দ্ধমুখী সংক্রমন ও মৃত্যু ঠেকাতে সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। কুষ্টিয়া শহরা লের পরিস্থিতি অনেকটাই সমগ্র কমিউনিটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সমুহ সম্ভাবনার কথা অনেক আগেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তা সংশ্লিষ্টদের কাছে গুরুত্ব না পাওয়ায় আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।