পরিবর্তনের অঙ্গীকারঃ কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে প্রকাশ্যে মা ও শিশু পূত্রসহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানায় করা হত্যা মামলার একমাত্র আসামী পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়। সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার আসামী সৌমেন রায়কে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী রেকর্ড করতে সৌপর্দ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় রায় বলেন, ‘বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল স্যারের খাস কামরায় দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ধরে মডেল থানার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেফতার আসামী সৌমেন রায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছে। স্বীকারোক্তির মধ্যে প্রধানত ছিলো আসমা ও সৌমেনের মধ্যে সম্পর্কের টানা পোড়েন থেকে সৃষ্ট ক্ষোভে সৌমেন রায় এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন’। আসামী সৌমেনের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে নিহত আসমার মা কুমারখালী উপজেলার নাথুরিয়া গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী হাসিনা খাতুন বাদি হয়ে কণ্যা ও নাতীছেলে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এদিকে সোমবার সকালে এএসআই সৌমের গুলিতে নিহত তিন জনের মরদেহেরজানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে নিহতদের নিজ গ্রামের কবরস্থানে। তার আগে রবিবার গভীর রাতে ময়না তদন্ত শেষ করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।এদিকে রবিবার বিকেলে পুলিশ সদস্যের ছোড়া গুলিবিদ্ধ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একে এম নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল কুষ্টিয়া শহরের কাষ্টম মোড়স্থ ওই মার্কেট পরিদর্শন করেন। এসময় সেখানে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামসহ অন্যান্যা পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।পরিদর্শন শেষে এই পুলিশ পরির্তনের অঙ্গীকারকে বলেন, “বিষয়টি আটক সৌমেনের একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ঘটেছে। এঘটনার সাথে পুলিশের ভাবমুর্তির কোন সম্পর্ক নেই। ঘটনা যা ঘটেছে, পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে”।নিহত আসমা খাতুন এএসআই সৌমেন রায়ের বিধিসম্মত বৈবাহিক স্ত্রী কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার। তিনি বলেন, আসমার পরিবার ও সৌমেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে “সৌমেন রায় আসমা খাতুনের ৩য় স্বামী, আসমার সাথে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিশু রবিন আসমার প্রথম স্বামীর সন্তান। অন্যদিকে সৌমেন রায়ের বাড়িতে রয়েছে বিবাহিত স্ত্রী ও বাচ্চা। এই সব ঘটনাগুলির মধ্যে কার সাথে কি ধরণের সম্পর্ক এবং টানাপোড়েনই বা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ? যার কারণে এই হত্যাকান্ড এর সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এছাড়া অন ডিউটি বা দাপ্তরিক অনুমোদন ছাড়া একজন পুলিশ সদস্য সরকারী অস্ত্র নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়াতে এসে কিভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ? সেবিষয়ে কার কতটুকু দায় বা কর্তব্যকাজে অবহেলা ছিলো তার সবকিছু খুটিনাটি বিশ্লেষনসহ তদন্ত করতে কুষ্টিয়া ও খুলনা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান। আগামী ৩কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে প্রকাশ্যে দাবিকৃত নিজের স্ত্রী ও শিশুসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত পুলিশের এ এসআই সৌমেন রায়। ওই ঘটনায় নিহ তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সাওতাগ্রামের বাসিন্দা মেজবার খানের ছেলে বিকাশ কর্মী শাকিল খান(২৮), নাথুরিয়া বাশগ্রামের বাসিন্দা আমির আলীর কণ্যা আসমা খাতুন(৩৪) এবং নিহত আসমার
শিশু পূত্র রবিন(৭)।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: মো: হাসান আলী
প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ ওবাইদুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: খালিদ সাইফুল
নির্বাহী সম্পাদক: রাশিদুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: মিজানুর রহমান
বার্তা সম্পাদক: আব্দুল কাদের
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: লাল মোহাম্মদ সড়ক, হাটশ হরিপুর নদীরকুল, কুষ্টিয়া-৭০০০।
মোবাইল : ০১৮১৫-৭১৭০৩৪ । ইমেইল : khalidsyful@gmail.com ।
ই-পেপার কপি