কুষ্টিয়া সনো হসপিটালে এক নবজাতকের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় হাসপাতালে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গত ৯ জুন রাত সাড়ে ৯টার সময় ঝিনাইদহ মহেশপুর বৈশাতলা গ্রামের কামরুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন নাহার (৩০) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সনো হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর রাত অনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডাঃ নাজানিন আক্তার জাহান। সিজারিয়ানের একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করে।
নাসরিন নাহার এর মা জানান, অপারেশনের মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে আমার মেয়েকে রিলিজ করে দেয় ডাঃ নাজনিন আক্তার জাহান। মৃত্যুর পূর্বে নাসরিন নাহার আমাকে বলে ডাক্তার আমার হাত ধরে মাফ চাচ্ছিল। ডাক্তার বলছিল তুমি আমাকে মাফ না করলে আল্লাহ্ আমাকে মাফ করবে না। এই ডাক্তারের কারনে আমার মেয়ে মারা গেছে।
নাসরিন নাহারের বোন জানান, আজ (রবিবার) সনো হসপিটালে নিয়ে এলে কোন ডাক্তার আমার বোনকে দেখি নি। প্রায় এক ঘন্টা ধরে এখানে ওখানে দোড় করিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ডাক্তারের ভুল অপারেশনে আমার বোন মারা গেছেন।
এবিষয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সনো হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সদস্যরা।
সনো হাসপাতালে ম্যানেজার মির্জা শাহ আলম বলেন, আজ রোগটিকে সনো হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা জানান রোগীর কাশি হচ্ছে ও ঘামছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ডাঃ নাজনিন আক্তার জাহান কে ফোন দি। তিনি আমাকে বললেন ওই রোগীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিন না হয় আপনার ওখানে ভর্তি রাখুন। আমি একটি সিজারিয়ান অপারেশন করছি অপারেশন শেষ করে ওই রোগী দেখব। আমি ওই রোগীকে ভর্তি করে নি। আমাদের এখানকার মেডিকেল অফিসার রোগীর বিপি চেক করে এবং ইসিজি করে বলেন রোগী মারা গেছেন। তিনি বলেন আমাদের কোন অবহেলা ছিল না।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে সনো হসপিটালে গেলে ডাঃ নাজনিন আক্তার জাহান কে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহিত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করে নি।